সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণের দাবিতে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তারা।

আন্দোলনে আহতরা পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কের দুই লেন অবরোধ করেছেন।

রাত ১১টার দিকে আন্দোলনে আহতরা তাদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে সড়কে অবস্থান নেন।

আহতরা জানান, “তাদের বার বার সুচিকিৎসার আশ্বাস দেয়া হলেও কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। আহতদের স্বাস্থ্য কার্ড ও স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে কয়েক দফা সময় বেধে দেয়ার পরও এখনও কোনো কিছুই পায়নি বলেও অভিযোগ তাদের।”

আহতরা আরও অভিযোগ করেন, জুলাই ফাউন্ডেশনের ক্ষতিপূরণ পেতেও তাদের অনেক হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে। মুষ্টিমেয় কিছু রোগী ক্ষতিপূরণ পেলেও অধিকাংশদের এখনও দেয়া হয়নি অর্থ সহায়তা। পুনর্বাসনেও নেয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ।

তাদের দাবি, আর কোনো আশ্বাস নয়, “এবার লিখিত রূপরেখা বা গেজেট পাস না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বে না বলে হুঁশিয়ারি দেন। এদিকে সড়ক অবরোধের ফলে আগারগাঁও থেকে শিশু মেলা লিংক রোডের দুই পাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।”

এদিকে চিকিৎসাসেবা ঠিকমতো পাচ্ছেন না এমন অভিযোগ তুলে রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ভেতরে সাড়ে চার ঘণ্টা বিক্ষোভের পর সড়ক অবরোধ করেছেন জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত একদল ব্যক্তি। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত ১১টার দিকে তারা সড়ক অবরোধ করেন বলে জানান একজন বিক্ষোভকারী।

তারা জানান, চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সামনের সড়কের দুই পাশের রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করছেন। তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং পুনর্বাসন নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, যারা বিক্ষোভ করছেন তাদের কারও এক চোখে আঘাত, আবার কারও দুই চোখে আঘাত লেগেছে। অনেকের আঘাত গুরুতর। কিন্তু তাদের অনেকেই সঠিক চিকিৎসা পাননি। সিঙ্গাপুর থেকে যে চিকিৎসক দল এসেছেন, তারা অল্প সময়ে অনেক রোগী দেখেছেন। এতে সঠিকভাবে চোখ পরীক্ষা করা হয়নি। এটা অনেকটা লোকদেখানো এজন্য তারা সঠিক চিকিৎসার দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছেন।

তারা আরও বলেন, এর আগেও চিকিৎসার দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় তাদের চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন নেই। এমন পরিস্থিতিতে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন।

বিআলো/শিলি