পলাতক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারের হাসপাতালে ৪ সমন্বয়ককে চাঁদাবাজির অভিযোগে হেনস্থা
নজরুল ইসলাম জুলু: রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রোগী সেজে হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হাসপাতালে খোঁজখবর নিতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ সমন্বয়ক।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকায় বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। রাত ৮টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়করা এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী মিশু। এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী জেলা কমিটির মুখ্য সংগঠক সোহাগ সর্দার, যুগ্ম আহবায়ক এম এ বারী এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বারিন্দ মেডিকেল কলেজের মালিক ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা শাহরিয়ার আলম। তার বাবা শামসুদ্দিন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ছিলেন এবং দেখাশোনা করতেন।
এদিনের ঘটনায় তথ্যসন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন ৪ সমন্বয়ক। ফেসবুকে হাসিনার দোসররা অপপ্রচার চালিয়েছে। আওয়ামী লীগপন্থী সাংবাদিকরাও গুজব ছড়িয়েছেন।
সমন্বয়করা বলেন, কলেজটিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী এখনো কর্মরত রয়েছেন। রোগী সেজে হাসপাতালে আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে রয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক মিশু বলেন, চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তার জন্য আমরা বারিন্দ মেডিকেল কলেজে তথ্য সংগ্রহে যাই। সেখানে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাবার (অস্থায়ী চেয়ারম্যান) ছত্রছায়ায় থাকা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গেলে তাদের বাধার মুখে পড়তে হয়। প্রতিষ্ঠানটির সচিব (ভারপ্রাপ্ত) তাজুল ইসলাম রনির সঙ্গে আলোচনার সময় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা হঠাৎ সেখানে ঢুকে বাকবিতণ্ডা শুরু করেন এবং বাকবিতণ্ডা শুরু করেন। এরমধ্যে রুম এবং বাইরে মব তৈরি করে আমাদের আটকে ফেলা হয়।
তিনি বলেন, পরিস্থিতিতে আমরা পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাইদের সহায়তায় সেখান থেকে বের হই। এ ঘটনাকে ইস্যু করে ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদেরকে চাঁদাবাজ বানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়েছে। আমরা আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সংবাদ সম্মেলনে তারা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
তবে বর্তমানে রোগী সেজে কেউ আছে কি না এমন প্রশ্নে মিশু বলেন, আমরা ডাটা কালেক্ট করার চেষ্টা করছি। রাতের মধ্যে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে বারিন্দ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. বেলাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিআলো/তুরাগ