পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মবিরতিতে গ্রাহক চরম দুর্ভোগে
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চন্দ্রা জোনাল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন। সারাদেশব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তারা দপ্তরের বাইরে অবস্থান নেন। এর ফলে গ্রাহকরা মারাত্মক ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। অনেক গ্রাহক নিয়মিত বিল পরিশোধ ও অন্যান্য সেবা নিতে দপ্তরে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। কর্মকর্তারা অফিসে না থাকায় দপ্তরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
জরুরি সেবা নিতে আসা এক গ্রাহক জানান, “আমি জরুরি সেবা নিতে এসেছিলাম, কিন্তু অফিসে কেউ ছিল না। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কাউকে পাইনি। শেষ পর্যন্ত ফিরে যেতে হলো। আমার মতো আরও অনেকেই একই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। আমরা দ্রুত এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।”
কর্মকর্তারা চার দফা মূল দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে— আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একীভূতকরণ বা অন্য বিতরণ সংস্থার মতো কোম্পানি গঠন, সব চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের স্থায়ী করা, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল ও মামলা প্রত্যাহার, এবং বদলি বা বরখাস্ত সংক্রান্ত কমিটির প্রতিবেদন বাস্তবায়ন।
তাদের অতিরিক্ত দাবির মধ্যে রয়েছে ১৭ আগস্ট থেকে বরখাস্ত ও চাকরিচ্যুত কর্মীদের পূর্বের কর্মস্থলে পুনর্বহাল, লাইনক্রুদের জন্য নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, আন্দোলনে অংশ নিতে না পারা পাঁচজন লাইনক্রুকে পূর্বের পদে ফিরিয়ে দেওয়া, এবং দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
চন্দ্রা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, “অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটির আবেদন দিয়ে অফিস ছেড়েছেন। আমি খুব কষ্ট করে স্থানীয় ২-৩ জনকে নিয়ে কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছি।”
গ্রাহক ভোগান্তি নিয়ে কথা জানতে চাইলে কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে মুখ খুলতে রাজি হননি। তারা অভিযোগ করেছেন, এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বললে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে।
বিআলো/তুরাগ