পাবনায় ধর্ষণ মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা
এস এম আলমগীর চাঁদ, পাবনা প্রতিনিধি: পাবনায় বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নিশান উদ্দিন সরদার (২৮) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। রবিবার (১৩ জুলাই) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. কামরুল হাসান খান এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, পাবনা জেলার আমিনপুর থানার খানপুরা গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত নিশান উদ্দিন সরদার একই গ্রামের আব্দুল আওয়ালের মেয়ে উর্মি খাতুনকে (২১) বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। কিন্তু পরে বিয়ে না করে প্রতারণার আশ্রয় নিলে, ভিকটিম উর্মি খাতুন ২০২৩ সালের ২৯ জুন আমিনপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর সংশোধিত ২০০৩ সালের ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন ২০২৪ সালের ৩০ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। বিচার প্রক্রিয়ায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
রায়ে নিশান উদ্দিন সরদারকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা এবং জরিমানার অর্থ অনাদায়ে ছয় মাসের অতিরিক্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন শাহীন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সাহাবুদ্দিন সবুজ।
রায় সম্পর্কে ভিকটিম উর্মির পিতা আব্দুল আউয়াল মোল্লা প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমরা আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়েছি। এতে বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমাদের আস্থা আরও দৃঢ় হয়েছে।”
অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাহাবুদ্দিন সবুজ বলেন, “এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।”
বিআলো/তুরাগ