• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    পিলখানা হত্যাকাণ্ড: ১৭৮ বিডিআর সদস্যের কারামুক্তিতে বাধা নেই 

     dailybangla 
    21st Jan 2025 10:26 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    বিআলো প্রতিবেদক: পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক মামলায় কারাগারে থাকা ১৭৮ বিডিআর জোয়ানের কারামুক্তিতে বাধা নেই।

    মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালত জামিনপ্রাপ্ত এসব আসামিদের নাম প্রকাশ করেন। এর মধ্য দিয়ে ১৬ বছর পর কারামুক্ত হতে যাচ্ছেন তারা।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের চিফ প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, গত রোববার হত্যা মামলায় নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালত থেকে খালাস প্রাপ্তদের বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামিনের আদেশ দেন বিচারক। আজ যাচাই-বাছাই শেষে ১৭৮ জনের জামিন পাওয়ার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার তাদের জামিননামা দাখিল করা হবে। এরপর তাদের জামিন সংক্রান্ত নথি-পত্র কারাগরে গেলে সেখানে কারাবিধি অনুযায়ী কারামুক্ত হবেন তারা।

    তিনি আরো বলেন, হত্যা মামলায় খালাস প্রাপ্তদের ভিতরে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলে যারা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন। ওই ১৫ জন বাদে সবাইকে জামিন দেয়া হয়েছে। প্রকাশিত তালিকা স্বচ্ছতার ভিত্তিতে করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহী জওয়ানরা সংস্থাটির সদর দফতর রাজধানীর পিলখানায় নারকীয় তাণ্ডব চালায়। তাদের হাতে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ ব্যক্তি।

    এই বিদ্রোহের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দুই কমিটির প্রতিবেদনে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার বিচার সেনা আইনে করার সুপারিশ করা হলেও উচ্চ আদালতের মতামতের পর সরকার প্রচলিত আইনেই এর বিচার করে।

    বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। এর একটি ছিলো হত্যা মামলা আর অন্যটি বিস্ফোরক আইনের মামলা।

    খুনের মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর ২৭৮ জন খালাস পান। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর এই মামলায় হাইকোর্টের আপিলের রায়ও হয়ে যায়।

    অপরদিকে বিস্ফোরক মামলায় ৮৩৪ জন আসামি রয়েছে। মামলাটি হত্যা মামলার সঙ্গে বিচার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে শুধু হত্যা মামলার সক্ষ্য উপস্থাপন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করেনি। এক পর্যায়ে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত করে দেয় রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে মামলাটির বিচারকাজ শেষ হতে বিলম্ব হয়।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930