প্রাক্তন স্বামীর আত্মীয়স্বজন দিয়ে ডিভোর্স স্ত্রীর নামে, চেকের স্বাক্ষর জাল করে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাক্তন স্বামীর চক্রান্তে তার আত্মীয়স্বজন দিয়ে ডিভোর্স স্ত্রীর সঙ্গে কোন টাকা লেনদেন না থাকলেও প্রাক্তন স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর নামে ব্যাংক একাউন্ট করে চেকের স্বাক্ষর জাল করে, মিথ্যা চেকের মামলা করে হয়রানির অভিযোগ করে ভুক্তভোগী মোছা. রিজিয়া পারভীন। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভুক্তভোগী মানববন্ধন করে এই অভিযোগ করেন ।
ভুক্তভোগী বলেন, আমার প্রাক্তন স্বামী মো. এনায়েত, পিতা: মৃত সোহরাব শেখ, গ্রাম-ওসমান মীরের ডাঙ্গি, ডাকঘর- চর মাধবদিয়া, থানা-কোতোয়ালি, জেলা-ফরিদপুর। আমার বাবা জানতো না সে আদম ব্যবসায়ী ও তার বয়স এত বেশি। সে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিদেশে নেওয়ার কথা বলে তাদের টাকা আত্মসাৎ করে এবং কাউকে বিদেশ নেয় নি। একপর্যায়ে আমি তাকে তালাক দেই, তালাকের তারিখ-২০১৯।
তারপর সে ২০২১ সালে ও ২০২২ সালে মামলা দেয়। তারপর আমার মা বাবা দেখেশুনে অন্য জায়গায় বিয়ে দেয়। এই কারণে সে আমার ক্ষতি করার কৌশল খুঁজে। আমি তার স্ত্রী থাকাকালীন সময়ে আমাকে দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট করিয়ে চেক বই তার কাছে রেখে দেয় এবং কৌশলে চেকের সই নকল মামলা দেয়।
আমার নতুন সংসার ভাঙার জন্য পূর্বের একাউন্ট নং-৮৪০৯৬১৩৪ এর চেক বই এ ৭,৭৫,০০০ টাকা ও ১৮,০০,০০০ টাকা বসিয়ে তা দিয়ে তার পরিচিত লোক তারা ফকির, পিতা-মৃত সাদেক ফকির ওরফে মাজেদ ফকির, সাং-লক্ষণদিয়া, পো: খলিলপুর, থানা-রাজবাড়ী সদর, জেলা-রাজবাড়ী ও শেখ জাহিদ, পিতা-শেখ বারেক, সাং-আছিরউদ্দিন মুন্সী ডাঙ্গী, পো: বাকীগঞ্জ, থানা-কোতোয়ালি, জেলা-ফরিদপুর দুজনকে দিয়ে চেক ডিজওনার করিয়ে আমার নামে মামলা দেয়। ৭,৭৫,০০০ টাকার মামলা নং-৬৭০/২২ এবং ১৮,০০,০০০ টাকার মামলা নং-৯০৯/২২, জেলা যুগ্ম জজ আদালত-৩, ফরিদপুর।
আমার কাছে ঐ চেক বইয়ের ব্যাংক স্টেটমেন্ট আছে। তাতে এ পর্যন্ত কোনো টাকা লেনদেন হয় নাই। আরো একাধিক চেকের পাতায় ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে মামলা দেয়। আমি প্রতারক ও আদম ব্যবসায়ীর শাস্তি দাবি করছি। আমার চেক বইতে জাল স্বাক্ষর দিয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। আমাকে হয়রানি করানোর জন্য তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। উক্ত মানববন্ধনে উপ¯ি’ত ছিলেন ভুক্তভোগী মোছা. রিজিয়া পারভীন ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা।
বিআলো/তুরাগ