প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতি বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনীমূলক মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে আজ ঢাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মিলনায়তনে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান।
সেমিনারে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহার উদ্ভাবিত ‘শান্তিগঞ্জ মডেল’ নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়। শিক্ষক–শিক্ষার্থীর মধ্যে ইতিবাচক প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি এবং শিশুদের বিদ্যালমুখী করার লক্ষ্যে প্রণীত এই সৃজনশীল মডেলটি ইতোমধ্যে ‘শান্তিগঞ্জ মডেল’ নামে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। মডেলটি চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিশেষ পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করে এবং ফলাফলের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদেরও পরোক্ষভাবে মূল্যায়নের আওতায় আনে।
এই বিশেষ মানোন্নয়ন পরীক্ষা ও র্যাঙ্কিং পদ্ধতি সুনামগঞ্জে একটি প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি বৃদ্ধি, পরীক্ষায় কমপক্ষে ৮০ শতাংশ অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, বিষয়ভিত্তিক দুর্বলতা দূরীকরণ এবং ঝরে পড়া রোধে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
‘শান্তিগঞ্জ মডেল’-এর প্রশংসা করে প্রধান অতিথি ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে সুনামগঞ্জে গৃহীত এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। পরীক্ষার ভিত্তিতে বিদ্যালয় ও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের র্যাঙ্কিং ব্যবস্থা সত্যিই এক ব্যতিক্রমী উদ্ভাবন। দেশব্যাপী এই মডেলটি বাস্তবায়ন করা গেলে শিক্ষার মানোন্নয়নে যুগান্তকারী পরিবর্তন সম্ভব।”
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, “শিক্ষার মানোন্নয়নে নির্মোহ ও বাস্তবসম্মত মূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রয়োজন। দীর্ঘদিনের শিক্ষাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিরপেক্ষ মূল্যায়নই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পথ।”
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা।
বিআলো/এফএইচএস



