প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্তির দাবিতে চাঁদপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
চাঁদপুর প্রতিনিধি: “জুলাইয়ের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই”—এই শ্লোগানকে সামনে রেখে চাঁদপুরে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলার ৮ উপজেলায় একযোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
জেলার প্রায় ৬৮৪টি কিন্ডারগার্টেন এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
চাঁদপুর সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেয় সদর উপজেলার ৭৩টি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকবৃন্দ। এ সময় আলাদা আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যানার ও বিভিন্ন দাবিসম্বলিত ফেস্টুন প্রদর্শন করেন শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর সদর উপজেলা শাখার সভাপতি লায়ন গোলাম হোসেন টিটো এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা শাখার সভাপতি ওমর ফারুক এবং প্রধান বক্তা ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সবুজ ভদ্র।
অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সদর শাখার সহ-সভাপতি মাহমুদা খানম, আবুল কালাম আজাদ, কবিতা সাহা, আইভী হীরা, মোঃ কাউসার পাটোয়ারী, মোঃ হাবিবুর রহমান, খাজা জুবায়ের, ওয়ালীউল্লাহ, মোঃ আব্দুল হামিদ ও মৃদুল কান্তি দাস।
বক্তারা বলেন, সরকার প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ না দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশে আর বৈষম্যের স্থান থাকার কথা নয়, কিন্তু সরকারপ্রধানের উপদেষ্টারা বৈষম্য টিকিয়ে রাখছেন। সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির পাশাপাশি বৃত্তি পাচ্ছে, অথচ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিশুরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বক্তারা আরও জানান, এ জাতীয় পরীক্ষায় দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারছে না।
মানববন্ধন শেষে চাঁদপুর জেলা শাখা ও সদর উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুচিত্র রঞ্জন দাস এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিন সৈকতের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এদিনের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল—আল আমিন একাডেমি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মডার্ন শিশু একাডেমি, উদয়ন শিশু বিদ্যালয়, ওয়াইডব্লিউসিএ নার্সারি, ইকরা মডেল একাডেমী, চাঁদপুর ল্যাবরেটরি স্কুল, মিশন প্রাইমারি স্কুল, কালেক্টর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ক্যামব্রিয়ান মডেল স্কুল, আল আমিন কেজি স্কুল, পিপলস মডেল, রেলওয়ে কিন্ডারগার্টেন, গাজীপুর সাহিন ক্যাডেট, হক ইন্টারন্যাশনাল ও সায়রা খাতুন আদর্শ কিন্ডারগার্টেনসহ মোট ৭৩টি প্রতিষ্ঠান।
বিআলো/তুরাগ