প্রিন্স উপাধি হারাতে চলেছেন অ্যান্ড্রু, ছাড়তে হবে রাজকীয় বাসভবনও
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: বিতর্কিত মার্কিন অর্থপতি জেফরি এপস্টিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে কেলেঙ্কারিতে জড়ানোয় ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস তার ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে রাজকীয় মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুধু ‘প্রিন্স’ উপাধিই নয়, উইন্ডসরের রয়্যাল লজ থেকেও তাকে সরে যেতে হবে।
বিবিসির খবরে জানা যায়, যৌন অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত এপস্টিনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এবং তার প্রভাব বিস্তার নিয়ে সপ্তাহজুড়ে সমালোচনার পরেই এই সিদ্ধান্ত আসে। বৃহস্পতিবার রাতে বাকিংহাম প্যালেসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, অ্যান্ড্রু ভবিষ্যতে ‘অ্যান্ড্রু মাউন্টব্যাটেন উইন্ডসর’ নামে পরিচিত হবেন।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই তিনি তার অন্যান্য রাজকীয় উপাধি, যার মধ্যে ‘ডিউক অব ইয়র্ক’ ছাড়াও আরও কয়েকটি সম্মাননা ছিল, তা ত্যাগ করেন। তার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ওঠার পর থেকেই রাজপরিবারের অভ্যন্তরে তাকে নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছিল।
এদিকে, কিশোরী বয়সে তিনবার অ্যান্ড্রুর সঙ্গে যৌনসম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ করে স্মৃতিকথা প্রকাশের পর নতুন করে আলোচনায় আসেন ভার্জিনিয়া জিউফ্রে। যদিও অ্যান্ড্রু বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জিউফ্রের মৃত্যু পর তার পরিবার বলছে, “জিউফ্রে সত্য ও সাহসের মাধ্যমে এক ব্রিটিশ প্রিন্সের পতন ঘটিয়েছেন।”
রাজপরিবার জানায়, আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যান্ড্রুর সব রাজকীয় সম্মান ও সুবিধা বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং তাকে রয়্যাল লজ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি সরে গিয়ে স্যান্ডরিংহাম এস্টেটের একটি ব্যক্তিগত বাড়িতে উঠবেন, যার ব্যয় বহন করবেন রাজা চার্লস।
২০০৪ সাল থেকে রয়্যাল লজে বসবাসকারী অ্যান্ড্রুর সঙ্গে তার সাবেক স্ত্রী সারা ফার্গুসনও সেখানে থাকতেন। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে তাকেও অন্যত্র থাকতে হবে।
তবে অ্যান্ড্রুর দুই কন্যা বিট্রিস ও ইউজেনি ‘প্রিন্সেস’ উপাধি বজায় রাখবেন। আর অ্যান্ড্রু এখনও ব্রিটিশ সিংহাসনের অষ্টম উত্তরাধিকারীর স্থানে থাকছেন।
বিআলো/শিলি



