• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    ফরিদগঞ্জে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভায় হট্টগোল, সভা পণ্ড 

     dailybangla 
    23rd Oct 2024 10:20 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদগঞ্জে দাওয়াত পেয়ে উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে উপস্থিত হয়ে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান। এছাড়া হই-হুল্লোড়, বাক-বিতণ্ডা ও হুমকি, ধাক্কাধাক্কির মধ্য দিয়ে সভা পণ্ড হয়ে গেছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের আক্রমণের মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যানদের অনিরাপদ রেখে সভাস্থল ত্যাগ করেছেন জেলা প্রশাসক ও নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। উপস্থিত কয়েকজন বিএনপির কর্মী ও সংবাদকর্মীরা তাদেরকে নিরাপদে বাড়ির ফেরার ব্যবস্থা করেন।

    চাঁদপুরের নবাগত জেলা প্রশাসকের সামনে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকালে ওই ঘটনা ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফরিদগঞ্জে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতারা রাজিয়া। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলায় নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন। সভায় আমন্ত্রিত অংশীজন হিসেবে উপস্থিত হন বিভিন্ন বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ১৫ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা এম.এ. হান্নান, সাবেক এমপি হারুনুর রশিদ, মোতাহার হোসেন পাটয়ারী ও জামায়াতের সাবেক আমির উইনুছ হেলাল। ইউএনওর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরুর পর পর্যায়ক্রমে ব্যবসায়ী, চেয়ারম্যানরা দলীয় নেতা হারুনুর রশিদ, সাবেক মেয়র মঞ্জিল হোসেন ও জামায়াত আমির ইউনুছ হেলাল।

    শান্তিপূর্ণভাবে সভার শেষের দিকে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন বক্তব্য শুরু করেন। ওই সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে হট্টগোল বাধে। ওই সময় ভেতরে আটকে পড়েন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ইউপি চেয়ারম্যান কাউছারুল আলম কামরুল, শাহ আলম শেখ, হারুনুর রশিদ ও বুলবুল আহমেদ। দলীয় নেতা-কর্মীরা তাদের উদ্দেশ্যে হাঁকডাক দেন, গালমন্দ করেন ও জানালা দিয়ে তাদের দিকে পানির বোতল ছুঁড়ে ছুঁড়ে ম মারেন ও মারমুখী হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চেয়ারম্যানদের সেখান থেকে কয়েকজন সাংবাদিক ও বিএনপি কর্মীরা তাদেরকে তিন তলায় নিয়ে যান ও নিরাপদে বাড়ি যেতে সাহায্য করেন। পথিমধ্যে ওই চেয়ারম্যানদেরকে লাঠিসোঁটা হাতে ধাওয়া দেওয়া হয়।

    ৯নং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম শেখ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিএনজিযোগে বাড়ি যাওয়ার পথে মাজারের সামনে কয়েকজন আমাদের গতিরোধ করেন। তারা আমাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেন। ওই সময় বাধা দিলে সাথে থাকা শাহ আলম মেম্বারকে কেল ঘুষি মারা হয়। তখন টানাহেঁচড়ায়, সিএনজি’র স্টিলের কয়েকটি স্টিক খুলে যায়। ওই সময় বিএনপির কয়েকজন দেখেন ও তাদের হটিয়ে আমাদেরকে বাড়ি যেতে সাহায্য করেন।

    এ ব্যপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, সাবেক মেয়র মঞ্জিল হোসেন বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার ফরিদগঞ্জে একমাত্র প্রতিনিধি এম.এ. হান্নান দাওয়াতপ্রাপ্ত ছিলেন। তিনি আসতে না পারায় আমি তার প্রতিনিধিত্ব করেছি। দাওয়াত না পেয়ে কিছু সংখ্যক নেতা আপত্তি করেছেন। জেলা প্রশাসক ও ইউএনও বলেছেন সভাটি ছোট পরিসরে আয়োজন ছিল। এছাড়া এখানে আমরা দুজনই নতুন যোগদান করেছি। ভবিষ্যতে খেয়াল থাকবে। মঞ্জিল হোসেন বলেন, এর মধ্যে হট্টগোল বাধলে আমি চলে আসি। কে বা কারা পরে উচ্ছৃংখলতা করেছে আমি জানি না।

    সভায় অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক এ.আর.এম. জাহিদ হাসান, ওসি মো. হানিফ সরকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার, মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেক পাটওয়ারী প্রমুখ।

    এ ব্যপারে নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেছেন, বাজার ব্যবস্থাপনা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ছোট পরিসরে সভার আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে নবাগত জেলা প্রশাসকের আগমন ও গুরুত্ব বিবেচনায় সর্বসাকুল্যে বিএনপি ও জামায়াতের চারজন নেতাকে দাওয়াত করি। কিন্তু তাদের সঙ্গে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে যায়। এজন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। উদ্ভুত ঘটনা বিবেচনায় ভবিষ্যতের জন্য অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হলো।

    বিআলো/তুরাগ

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930