ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতিমন্ত্রী অবৈধ পন্থায় কয়লা আমদানি করে অর্থ পাচার করেছে: হাবিব
নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু অবৈধ পন্থায় কয়লা আমদানির অনুমতি দিয়ে হাজার হাজার টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে এই মন্তব্য করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব।
তিনি আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলনের উদ্যোগে অনুমতি হীন তাপবিদ্যুৎ এর কয়লা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেছে ইন্ট্রাকো গ্রুপের এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পার্কার বাংলাদেশ লিমিটেড-এর প্রতিবাদে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার। সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আইনজীবী এডভোকেট নুরুন্নবী উজ্জ্বল, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপ এর মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের’ সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের, বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র জনতা পার্টির পেনেল সভাপতি মো. বেলাল হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু অবৈধ পন্থায় কয়লা আমদানির অনুমতি দিয়ে হাজার হাজার টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে, ফলে পার্কার বাংলাদেশ লিমিটেড মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমদানি পারমিট দেখিয়ে এক মাসে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৫৩,৯১৬ মেট্রিক টন কয়লা আমদানি করা হয়েছে। ৪৯ লাখ ৬০ হাজার ২৭২ ডলার (প্রায় ৫৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা) মূল্যের এই কয়লা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে নয়, বরং স্থানীয় কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করা হয়েছে, আমদানি নীতির প্রতি আঙুল দেখানো হয়। শুধু তাই নয়, সরবরাহকারীদের ঋণের মাধ্যমে আমদানি করা এই কয়লার দাম হুন্ডি বা অন্য কোনোভাবে পরিশোধ করা হয়। বর্তমান সরকারের আমলেও একই কায়দায় বিক্রয় করছে, এটা কীভাবে সম্ভব, আমি সরকারকে অনুরোধ করছি তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তি আনা জন্য।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা বারবার আহ্বান করেছি, আপনারা দ্রুত সময়ের ভেতরে একটি নির্বাচন দেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় গত ১৭ বছর স্বৈরাচার সরকার নির্বাচনের কথা শুনলে যেমনটি করেছে, বর্তমান সরকারও তেমনটি করছে, আমাদের নেতা তারেক জিয়ার ড. ইউনুসের সঙ্গে লন্ডনে কথা বলেছেন নির্বাচন প্রসঙ্গে, সেখানে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে, আমরা চাই সংস্কার শেষ করে অতি দ্রুত ফেব্রুয়ারির আগে নির্বাচন দেওয়া হোক।
বিআলো/তুরাগ