বন্ডের ৪৯২৭ টন কাপড়ের মধ্যে ৩৭৯৭ টন বিক্রির তথ্য সঠিক নয়
বিশেষ প্রতিনিধি: একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে গত ১৬ নভেম্বর ‘বন্ডের ৪৯২৭ টন কাপড়ের ৩৭৯৭ টন-ই বিক্রি করে দিয়েছে!’ শিরোনামে প্রকাশিত নিউজ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন রাফায়েত গার্মেন্টস লিমিটেড এর জেনারেল ম্যানেজার (হিসাব বিভাগ) খুরশিদ আলম। তিনি বলেছেন, প্রকাশিত নিউজ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ‘রাফায়েত গার্মেন্টস’-এর সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি পক্ষ উঠে পড়ে লেগেছে।
গতকাল মঙ্গলবার ‘দৈনিক বাংলাদেশের আলো’ কার্যালয়ে এসে তিনি এসব ব্যাখ্যা দেন। তিনি জানান, প্রকাশিত সংবাদে আমাদের প্রতিষ্ঠানের নাম ও আমার পদবীও নেই। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, ইসলামপুর থেকে ৪০ লাখ টাকা কন্ট্রাক্টে এলসি আনে দালাল খুরশিদ আলম, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে খালাসে ঘুসের কন্ট্রাক্ট করে বাবলু। কিন্তু কোন খুরশিদ আলম এরও কোন পরিচয় নেই। সবমিলিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠান ও আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য এই নিউজ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমার ও আমাদের কোম্পানীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ব্যক্তিগত শত্রæতার জের ধরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিজনেস বার্তার রিপোর্টার তথ্য যাচাই বাছাই না করে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়, অপরাধ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমাদের কোম্পানীর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে কাস্টম হাউজ বিভিন্ন মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে কারখানা পরিদর্শন করেছেন এবং কাস্টম হাউজে প্রতিবেদন প্রদান করেন বলে তিনি জানান। বিজনেস বার্তায় বলা হয়েছে, জাকির, জাহাঙ্গীর শাহিন ও কাইয়ুম নামের ইসলামপুরের এই এজেন্ট থেকে খুরশিদ আলম এলসি এনে রাফায়েত ফেব্রিক্সকে দিতো। আর খুরশিদ আলম চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নেতা জামাল উদ্দিন বাবলুর মাধ্যমে বিভিন্ন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ভাড়া নিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘুসের কন্ট্রাক্ট করে এই কাপড়গুলো খালাস করে আসছে বলে যে তথ্য সংবাদ প্রকাশ হয়েছে এর যুক্তিসঙ্গত কোন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টও নেই বিজনেস বার্তার রিপোর্টারের কাছে।
নিউজে আরো বলা হয়েছে, খুরশিদ আলম ইসলামপুরের এসব এজেন্ট থেকে প্রতি এলসির বিনিময়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকা করে আনতো। সে রাফায়েতকে প্রতি এলসিতে দিতো ১৫ লাখ টাকা। খুরশিদ রাফায়েতকে বলতো প্রতি কন্টেইনারে সিঅ্যান্ডএফ বাবদ প্রায় ২৫ লাখ টাকা খরচ হবে। তবে খুরশিদ রাফায়েত থেকে ২৫ লাখ টাকা করে নিলেও সিঅ্যান্ডএফকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে বাকি ১৫ লাখ টাকা সে মেরে দেয়। এই ১০ লাখ টাকা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, কাস্টমস ও বন্দরকে ঘুস দিয়ে কন্ট্রাকে কাপড় খালাস করে বলে অভিযোগ রয়েছে এর কোন তথ্য প্রমাণপত্র নেই বলেও খুরশিদ আলম দাবি করেন।
বিআলো/এফএইচএস



