বন্যার কবলে সিলেট-মৌলভীবাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দেশের বন্যা প্রবণ তিনটি নদীর পানি। ফলে সিলেট ও মৌলভীবাজারের নিম্নাঞ্চল বন্যা পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
রোববার (১ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এমন খবর জানিয়েছে ।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, সিলেট জেলার সুরমা, কুশিয়ারা নদীসমূহের ও মৌলভীবাজার জেলার মনু নদীর পানির সমতল বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা, মনু ও খোয়াই নদীসমূহের পানি সমতল আগামী দুদিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে; সারিগোরাইন, যাদুকাটা, ধলাই ও সোমেশ্বরী নদীসমূহের পানির সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এই সময়ে সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও হবিগঞ্জ জেলার উক্ত নদীসমূহ সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
নদ-নদীসমূহের পানির সমতল আগামী পাঁচদিন বৃদ্ধি পেতে পারে, এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে ও যমুনা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে রংপুর বিভাগের ভিন্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীসমূহের পানির সমতল আগামী দুদিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী ইত্যাদি নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, পরের দিন স্থিতিশীল এবং পরবর্তী একদিন হ্রাস পেতে পারে।
অন্যদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মুহুরী, ফেনী, হালদা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। গঙ্গা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে ও পদ্মা নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে। নদীসমূহের পানির সমতল আগামী তিনদিন পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
পাউবো জানান, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাটে বিপৎসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার এবং মনু নদীর পানি মৌলভীবাজারে বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিআলো/সবুজ