বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সুখও বাড়ুক: বিশেষজ্ঞের কিছু পরামর্শ
বিআলো ডেস্ক: বয়স বাড়া মানেই যে আনন্দ কমে যাবে, এমন নয়। বরং সঠিক মানসিকতা ও কিছু সহজ অভ্যাস আপনাকে করতে পারে আরও তৃপ্ত, প্রাণবন্ত ও সুখী। মার্কিন জেরিয়াট্রিশিয়ান ও লেখক ডা. কেরি বার্নাইট ‘টাইম’ সাময়িকীতে জানিয়েছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক ও আত্মিকভাবে আরও পরিপূর্ণ হওয়ার পাঁচটি কার্যকর উপায়।
অনেকেই মনে করেন, বয়স বাড়া মানে জীবন থেকে রঙ ফিকে হয়ে যাওয়া। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। জীবনের প্রতিটি পর্যায়েই সুখ খুঁজে পাওয়া সম্ভব, যদি কিছু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ধরে রাখা যায়। ডা. কেরি বার্নাইটের মতে, এই ৫টি অভ্যাস ধরে রাখতে পারলেই বয়স শুধু বাড়বে না, বাড়বে আনন্দও।
* কৌতূহল বাঁচিয়ে রাখুন:
বয়স যতই বাড়ুক, মনের ভেতরের শিশুটাকে হারিয়ে ফেলবেন না। প্রতিদিন কিছু না কিছু নতুন জানার আগ্রহ রাখুন। বার্নাইট বলেন, “কৌতূহলী মন থাকলে বাকিটা খুবই সহজ।” নতুন কিছু শেখার আনন্দই জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হতে পারে।
* সম্পর্ক বজায় রাখুন:
মানুষের সঙ্গে সংযোগ থাকা মানসিক সুস্থতার মূলভিত্তি। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় কিংবা প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। শুধু একটা ফোন কল, মেসেজ বা আলাপচারিতাই আপনার মনোবল বাড়িয়ে দিতে পারে।
* শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান:
শিশুদের হাসি ও সরলতা জীবনের শ্রেষ্ঠ থেরাপি। বিশেষত নিজের নাতি–নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটানো মন ও শরীরের জন্য উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত শিশুদের সঙ্গে সময় কাটালে বার্ধক্যজনিত মানসিক রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
* পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিন:
পৃথিবী দ্রুত বদলাচ্ছে। অনেকেই অতীতেই বন্দি হয়ে পড়েন, ফলে বর্তমানে প্রাসঙ্গিক থাকতে পারেন না। বার্নাইট বলেন, সময়ের সঙ্গে তাল মেলানোই টিকে থাকার কৌশল। তাই বয়স যাই হোক, নিজেকে বর্তমানের সঙ্গে যুক্ত রাখুন।
* অন্যের জন্য কিছু করুন:
সুখী মানুষরা শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচেন। প্রতিদিন চেষ্টা করুন কাউকে সাহায্য করতে- হোক সেটা কথা শোনা, পরামর্শ দেওয়া কিংবা ছোটখাটো কোনো উপহার। এই ‘দেওয়া’র মনোভাবই আপনাকে রাখবে মানসিকভাবে তৃপ্ত ও জীবন্ত।
বয়স বাড়া থামানো না গেলেও সুখী থাকা সম্ভব। নিজের কৌতূহল, সম্পর্ক, ইতিবাচক মনোভাব আর সহানুভূতিশীলতা ধরে রাখতে পারলে বয়স হবে কেবল একটা সংখ্যা, জীবন নয়। সূত্র: টাইম
বিআলো/শিলি



