বরিশালে আলোচিত লিটু হত্যার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিল্টন গ্রেফতার
এইচ আর হীরা, বরিশাল: বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন সিকদার হত্যা মামলার মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ উদ্দিন খান মিল্টনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে নগরীর কাউনিয়া বাগান বাড়ি মিল্টনের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে বরিশাল নগর গোয়েন্দা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন, গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সগির হোসেন। তিনি বলেন, বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন সিকদার হত্যার ঘটনায় পাঁচ নম্বর আসামি রিয়াজ উদ্দিন খান মিল্টনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার মিল্টন লিটন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়াও, অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় তার মা, ভাই ও বোন গুরুতর আহত হন এবং তার বাড়িতে বসতঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। বিল্ববাড়ি গ্রামের স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার মূল কারণ হিসেবে পরিচিত ব্যক্তি জাকির গাজীর গোপনে দ্বিতীয় বিবাহ ও তার সঙ্গে লিটনের বোন মুন্নি বেগমের বিবাদকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মামলার ওঠানামার ঝামেলায় এলাকায় একদল লোক পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা চালায়ে এবং পরে লিটনকে হত্যা করে। এসআই শহীদুল ইসলাম পুলিশের পিকআপে ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার মুহূর্তের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এতে স্থানীয়রা তাঁকে বারবার লিটনকে থানায় নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ স্বীকার করলেও তিনি যথাযথ প্রতিক্রিয়া নেননি বলে অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে নিহত লিটনের বোন মুন্নি বেগম ১ আগস্ট বরিশাল মহানগর বিমানবন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে ও অজ্ঞাত ১৫০–২০০ জনকে আসামি করা হয়। উল্ল্যেখ্য গত (৩১ জুলাই) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বিল্ববাড়ী গ্রামে পুলিশের সামনে বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন সিকদারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ সময় নিহতের ছোট ভাই সুমন সিকদার (৩৫) ও বোন মুন্নি বেগমকে (৩৮) কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। নিহত লিটু সিকদার (৪২) বিল্ববাড়ী গ্রামের নজির সিকদারের ছেলে ও বহিষ্কৃত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হামলাকারীরা কুপিয়ে লিটুর ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলে রেখে যায়।
বিআলো/ইমরান