বর্ষায় হঠাৎ ভিজে জর-সর্দি-কাশি হলে যা করবেন
বিআলো ডেস্ক: ভ্যাঁপসা গরমের পর শুরু হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের বৃষ্টি। একদিনেই তাপমাত্রা কমে গিয়েছে অনেকখানি। যতই বৃষ্টি হোক, কাজকর্ম তো আর থেমে থাকে না।
বিশেষ করে যাদের প্রতিদিন বাড়ির বাইরে বের হতে হয়, তারা কখনো না কখনো বৃষ্টিতে না চাইতেও ভিজে যান। ফলে জ্বর, সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা বাড়ে।
ঋতু পরিবর্তনের সময়ে জ্বর হওয়া নতুন কিছু নয়। তাপমাত্রার আচমকা বদলের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে জ্বর-সর্দিতে ভোগেন অনেকে। তাই এ সময় সর্দি-কাশি-জ্বর থেকে বাঁচতে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। বর্ষার দিনে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যদি বৃষ্টিতে ভিজে যান ও তখন বাড়িতে ফেরার উপায় না থাকে তাহলে কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন ও রোগব্যাধি এড়াবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক- এসময় তাই বাড়তি কিছু সতর্কতা মেনে চলা উচিত।
পোশাক বদলে ফেলুন-
আপনি যদি অফিসে বা অন্য কোথাও যাওয়ার সময় ভিজে যান, গন্তব্যে পৌঁছেই শুকনো পোশাক পরে নিন। প্রয়োজনে এই মৌসুমে বাইরে বের হওয়ার আগে ব্যাগে শুকনো পোষাক নিয়ে নিন। এবং দ্রুত চুল মুছে নিন যতটা সম্ভব। না হলে হুট করে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
লবঙ্গ বা আদা কুচি –
চিকিৎসকরা বলছেন, সর্দি-কাশি কমাতে গাদা গাদা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘন ঘন কাশি হলে সিরাপ না খেয়ে ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগান। কাশি হলেই লবঙ্গ বা আদার কুচি মুখে রাখুন। আদার ছোট ছোট টুকরো শুকিয়ে লবণ দিয়ে রাখতে পারেন। এই মসলা মুখে রাখলে কাশির পরিমাণ কমে যাবে।
মধু-
কাশি কমাতে প্রতিদিন ১ চামচ মধু খান। অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ মধু সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।
এসি নয়-
এসময় বেশি এসি চালাবেন না। বৃষ্টিতে ভিজলে ভেজা জামা খুলে গা মুছে পোশাক বদলে নিন। রাতে মাথার দিকে জানালা খুলে ঘুমাবেন না। গায়ে হালকা চাদর রাখতে পারেন।
উষ্ণ পানিতে গোসল-
বেশি ভোরে কিংবা বেশি রাতের দিকে গোসল না করাই ভালো। ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে উষ্ণ গরম পানিতে গোসল করুন।
হলুদ দুধ-
রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খান। এতে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির থেকে রেহাই মিলবে। হলুদের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ নানা স্বাস্থ্য জটিলতা থেকে রক্ষা করে।
মসলা চা-
এসময় চা তৈরির সময়ে তার সঙ্গে আদা, গোলমরিচ, দারুচিনি ফুটিয়ে সিরাপ তৈরি করে নিতে পারেন। গরম গরম এই পানীয় খেলে আরাম মিলবে, ঠান্ডাও কমবে।
বৃষ্টিবাদলের এসময়ে পেটের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডায়েরিয়ার পাশাপাশি দেখা দেয় টাইফয়েড, প্যারাটাইফয়েড, জলবাহিত হেপাটাইটিসের কারণে জন্ডিস হওয়ার ঝুঁকি। রাস্তার পাশের খাবার এসব রোগের মূল কারণ। তাই চেষ্টা করুন বাড়ির খাবার খেতে। ঘরে তৈরি হাতরুটি, সবজি, ফল খান।
নিজে থেকেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাবেন না। টানা তিনদিনের বেশি জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বেশি করে পানি পান করুন।
বিআলো/শিলি