বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে শুরু হচ্ছে জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপ
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের খেলাধুলায় নতুন দিগন্তের সূচনা হলো বসুন্ধরার হাত ধরে। এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী স্কোয়াশ খেলা যখন ভুলে যাওয়া ইতিহাসের পথে, তখন সেই হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফিরিয়ে আনতে বড় উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। আন্তর্জাতিক মানে স্কোয়াশকে প্রতিষ্ঠিত করতে তারা হাত মিলিয়েছে বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের সঙ্গে, যার মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছর এই খেলাটির সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবে বসুন্ধরা।
শনিবার বিকেলে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির জুলকান ইনডোর এরিনায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় পাঁচ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন স্পোর্টস সিটির পরিচালক মেজর (অব.) মোহসিনুল করিম, আর ফেডারেশনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সাধারণ সম্পাদক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম। এ সময় দুই পক্ষই বাংলাদেশের স্কোয়াশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এই সহযোগিতার অংশ হিসেবেই বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির আয়োজনে শুরু হতে যাচ্ছে ‘৫ম জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপ–২০২৫’। উর্মি গ্রুপ ও তুরাগ একটিভের পৃষ্ঠপোষকতায় এবারের আসর অনুষ্ঠিত হবে রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক পর্বে অংশ নেয় ২৫টি প্রতিষ্ঠানের ১৮০ জনেরও বেশি খেলোয়াড়। তাদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ৮০ জন প্রতিযোগী নিয়ে সোমবার থেকে শুরু হবে মূল পর্বের লড়াই।
বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পাশাপাশি ইনডিপেনডেন্স বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আর্মি স্কোয়াশ কমপ্লেক্স, শাহীন কলেজ ও আর্মি অফিসার্স মেসেও অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতার ম্যাচগুলো। প্রতিযোগীরা অংশ নেবেন নয়টি ভিন্ন গ্রুপে— উন্মুক্ত নারী, উন্মুক্ত পুরুষ, উন্মুক্ত মেম্বার, ১১ বছরের নিচে, ১২–১৩ বছর, ১৪–১৫ বছর বয়সী ছেলে ও মেয়েদের বিভাগে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম বলেন, “বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি, উর্মি গ্রুপ ও তুরাগ একটিভকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের পাশে থাকার জন্য। তাদের সহযোগিতায় আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের সুনাম বয়ে আনতে চাই। ইতোমধ্যে আমরা চারশ’র বেশি খেলোয়াড় তৈরি করেছি। এবার আমরা বসুন্ধরাকে সাথে নিয়ে দেশে স্কোয়াশে এক নতুন বিপ্লব দেখতে চাই।”
বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পরিচালক মেজর (অব.) মোহসিনুল করিম বলেন, “এটি বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসে বড় একটি মাইলফলক। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিশেষ উদ্যোগেই মূলত এই আয়োজন সম্ভব হয়েছে। দেশের ফুটবলের মতো স্কোয়াশকেও আমরা এগিয়ে নিতে চাই।”
বিআলো/তুরাগ