বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা জটিলতা বাড়ছে, শিক্ষার্থী থেকে পর্যটক সবাই প্রভাবিত
বিআলো ডেস্ক: শুধু স্কলারশিপ পাওয়া বা প্রস্তুতি থাকা দিয়েই সবসময় বিদেশে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না বাংলাদেশিদের। হাঙ্গেরি, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশেও ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে ভিসার অপব্যবহার, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও দেশের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব।
এক বছরের বেশি সময় ধরে হাঙ্গেরি ও যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার চেষ্টা করেছেন তানজুমান আলম ঝুমা। স্কলারশিপ পেয়েও ভিসা না পাওয়ায় বিদেশে যেতে পারেননি। একই সমস্যা দেখা দিয়েছে অনেক শিক্ষার্থী, পর্যটক ও শ্রমিকের ক্ষেত্রেও।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, “ইন্ডিয়া, ইউএই, কাতার, বাহরাইন, ওমান, উজবেকিস্তান, সৌদি আরব, ভিয়েতনাম- এই সব দেশ বাংলাদেশিদের ভিসা দিচ্ছে না। এছাড়া থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার ভিসা প্রক্রিয়াও জটিল।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো দেশের বাইরে ভিসার অপব্যবহার, রাজনৈতিক দলের সমর্থক বা কর্মীদের বিদেশে কোন্দলে জড়ানো, এবং পাসপোর্টের অবস্থান। হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের পাসপোর্টের শক্তি খুব কম; মাত্র ৩৮টি দেশে ভিসা ছাড়াই যাতায়াত সম্ভব।
কূটনীতিক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, “ভিসা সুবিধা বা সুযোগের অপব্যবহারের কারণে অনেক দেশ সতর্ক হয়ে গেছে। অনিয়মিত অভিবাসনের প্রবণতা এবং দেশের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাবের কারণে সাধারণ মানুষকেও ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।”
সমাধানের পরামর্শ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা দৃঢ় করা এবং কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। ভারতের পর্যটন ভিসার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব থাকলেও, অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সংলাপ ও অসৎ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিলে জটিলতা কমানো সম্ভব। সূত্র: বিবিসি
বিআলো/শিলি



