বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ ও ন্যায্য রূপান্তরের প্রভাব’ শীর্ষক এনার্জি টক
চট্টগ্রাম ব্যুরো: টেকসই জ্বালানি রূপান্তর, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ও পরিবেশ সুরক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে ‘জ্বালানি সম্প্রসারণ: বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ ও ন্যায্য রূপান্তরের প্রভাব’ শীর্ষক এনার্জি টক-৩তে বক্তারা এই পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
একাধিক যুব ও পরিবেশ সংগঠনের সহযোগিতায় ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, থ্রিফিফটিডটওআরজি ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানে তরুণ জলবায়ু কর্মী, গবেষক, শিক্ষার্থী ও বিশেষজ্ঞদের অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইফতেখার মনির বলেন, ‘পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্প নেই।
মূল বক্তা ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের প্রধান বিশ্লেষক শফিকুল আলম জানান, দেশের জ্বালানি খাতে এখনও ৪০ শতাংশ আমদানি নির্ভরতা রয়েছে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার মাত্র ২ শতাংশ। তিনি বলেন, অদূরদর্শী সম্প্রসারণ পরিকল্পনা অর্থনৈতিক চাপ বাড়াচ্ছে। তাই নবায়নযোগ্য উৎসের দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়া জরুরি।
ধরা’র কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে ফসলি জমি ও নদীর পানির ক্ষতি হচ্ছে। তিনি জ্বালানি খাতে পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে যথাযথ সমীক্ষার দাবি জানান।
ফসিল ফুয়েল নন-প্রোলিফারেশন ট্রিটি’র উপদেষ্টা হারজিত সিং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতা ছাড়া শূন্য কার্বন নির্গমন সম্ভব নয় উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশেরও বৈশ্বিক আলোচনায় ভূমিকা রাখা জরুরি।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক এস এম নছরুল কাদির এ ধরনের আয়োজনকে সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করেন।
আলোচনা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্ব ও কুইজ প্রতিযোগিতা হয়। কুইজে অংশগ্রহণকারী ১৩০ তরুণের মধ্যে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ দেয়া হয়।
বিআলো/এফএইচএস