বিগত সরকারের আমলে গণমাধ্যমে অনিয়ম ছিল : তথ্য উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক: পাঠক ও সাংবাদিকদের স্বার্থ এবং জাতীয় স্বার্থের সংরক্ষণ নিয়ে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে একটি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। আজ রবিবার সকালে ‘গণমাধ্যমের স্ব-নিয়ন্ত্রণ ও অভিযোগ ব্যবস্থাপনা: রাজনৈতিক ও নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক সংলাপে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সাংবাদিক ও গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে বলেন, গণমাধ্যমকে সব রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, সিভিল-মিলিটারি আমলাতন্ত্রকে ফ্যাসিস্টমুক্ত না করা পর্যন্ত মিডিয়াকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করা সম্ভব নয়। তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, গণমাধ্যমকে অনিয়মমুক্ত করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ও ঐকমত্য অপরিহার্য। তিনি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন, বিগত সরকারের আমলে গণমাধ্যমে অনিয়ম ছিল। যদিও সময়মতো সুযোগ থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার তা কার্যকরভাবে করেনি। এ ছাড়া সংবাদ প্রকাশে এজেন্সিগুলোর নিয়ন্ত্রণের অভিযোগও তিনি উত্থাপন করেন। মাহফুজ আলম মনে করেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলে হলুদ সাংবাদিকতা কমে আসবে।
সংলাপে মাহফুজ আলম তার ব্যক্তিগত অবস্থান নিয়েও বিস্তারিত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘গত দুই মাস ধরে আমি অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি যে আমি কখন নেমে যাই। মানে আমি কখন পদত্যাগ করব, আমি জানি না।’ তিনি উল্লেখ করেন, মে মাস থেকে রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগ চাওয়ার কথা জানিয়েছিল। এছাড়া তিনি জানান, তার সরকারি বাসভবন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর স্লোগান শুনতে পেতেন।
তথ্য উপদেষ্টা সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইনের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, খসড়া থেকে বিল আকারে পাস হওয়ার প্রক্রিয়ায় মোট ১৮টি ধাপ রয়েছে। দুই মাস আগে তিনি প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তবে এখনো এটি দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই সরকারের সময়সীমার মধ্যেই সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন কার্যকর হবে। সংলাপটি আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস), সহযোগিতা করেছে যুক্তরাজ্য সরকার ও দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন।
বিআলো/ইমরান