বিজিএমইএ’র বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা বিস্তারে আরও ৪ হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি
দেশের ১৪টি শীর্ষ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা এখন পোশাকখাতের মানুষের নাগালে
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) তাদের সদস্য, কর্মকর্তা–কর্মচারী ও তাদের পরিবারের জন্য উন্নত ও সহজলভ্য চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক আরও সম্প্রসারিত করেছে। ইতোমধ্যে যে ১০টি হাসপাতালের সঙ্গে বিশেষ ছাড় সুবিধা চালু ছিল, তার সঙ্গে নতুন করে আরও চারটি স্বনামধন্য হাসপাতালের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়েছে। এর ফলে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার পরিধি এখন মোট ১৪টি শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালে উন্নীত হলো।
মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ সভাকক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। নতুন যুক্ত হওয়া হাসপাতালগুলো হলো—ঢাকা ইমপেরিয়াল হাসপাতাল পিএলসি, ইবনে সিনা ট্রাস্ট, শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল এবং ইয়র্ক হসপিটাল লিমিটেড।
বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে এমওইউতে সই করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম রহমান। হাসপাতালগুলোর পক্ষ থেকে সই করেন—ঢাকা ইমপেরিয়াল হাসপাতাল পিএলসি’র পরিচালক মোঃ আনিসুর রহমান, ইবনে সিনা ট্রাস্টের এজিএম ও ডেপুটি হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট জিএম তারিকুল ইসলাম, শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালের বোর্ড ডিরেক্টর ফুতোশি কোনো এবং ইয়র্ক হসপিটাল লিঃ এর পরিচালক (এবং বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক) নজরুল ইসলাম।
বিশেষ ছাড়ে চিকিৎসাসেবা সুবিধা প্রসঙ্গে বিজিএমইএ জানায়, নতুন চারটি হাসপাতাল যুক্ত হওয়ায় এখন সদস্য ও তাদের পরিবার ১৪টি শীর্ষস্থানীয় হাসপাতাল থেকে বিশেষ ডিসকাউন্টে চিকিৎসা ও ডায়াগনস্টিক সুবিধা পাবেন। এতে বিদেশমুখী চিকিৎসার প্রবণতা কমে দেশের মধ্যেই মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার প্রতি আস্থা বাড়বে বলে প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম রহমান বলেন, পোশাক খাতের উদ্যোক্তা ও শ্রমিকদের কল্যাণে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ বিজিএমইএ’র দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগের অংশ। তিনি জানান, আশুলিয়া অঞ্চলে শ্রমিকদের জন্য একটি বৃহৎ আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আজকের এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ভবিষ্যতে সে হাসপাতালের পরিচালনায় অংশীদার হাসপাতালগুলোর সহযোগিতা নিশ্চিত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, “সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার মাধ্যমে পোশাক খাতে একটি স্থায়ী ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা কাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব।”
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিজিএমইএ’র পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মোঃ হাসিব উদ্দিন, প্রেস, পাবলিকেশন অ্যান্ড পাবলিসিটি কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদ কবির, মিরপুর হেলথ কেয়ার সেন্টারের চেয়ারম্যান খন্দকার মহিদুর রহমান শাহীন, টিবি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডেঙ্গু কমিটির চেয়ারম্যান নুরুল তপন, ইয়র্ক হসপিটাল লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মল্লিক নাসিম আহসানসহ সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
স্বাক্ষরকারী হাসপাতালগুলোর প্রতিনিধিরা বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিমুখী শিল্প—পোশাকখাতের মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে তারা গর্বিত ও আনন্দিত।
বিআলো/তুরাগ



