বিশ্বের ৭০ টি দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেঃ মো. আখতারুজ্জামান
মনিরুজ্জামা মনিরঃ‘কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেন বিশ্বের ৭০ টি দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।স্বাস্থ্যসেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা বাড়ানোর হবে। আজ বুধবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীর বিএমআরসি সম্মেলন কক্ষে ‘কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানান কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.আখতারুজ্জামান।স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে মো. আখতারুজ্জামান আরও বলেন, দেশের ৭২ শতাংশ মানুষ মনে করে, জনস্বাস্থ্যসেবার জন্য আলাদা ফ্যাসিলিটি থাকা উচিত। এই ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও ইতোমধ্যে ইডিসিএল থেকে ১২০ কোটি টাকার ওষুধ কেনা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এসব ওষুধ সব কমিউনিটি ক্লিনিকে পৌঁছে যাবে। আরও ২০০ কোটি টাকার ওষুধ দ্রুত কেনা হবে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় সরকারকেই বহন করা উচিত—এমন মত পোষণ করেন ৯২% মানুষ। আর ৯৭% মানুষ মনে করেন, স্বাস্থ্যসেবা বিনামূল্যে পাওয়া উচিত। এই ক্ষেত্রেও কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরো বলেন -গত ৫৪ বছরে স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে বড় সংস্কার হলো ওয়ার্ড লেভেলে প্রান্তিক স্বাস্থ্য সেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন। এবং পৃথক একটি দপ্তর তথা ট্রাস্ট করা স্বাস্থ্য সেবায় আর একটি বড় সংস্কার। এবং ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে বছরে ১৬ কোটি সেবা গ্রহীতাকে সেবা দেয়া হয়। গত ১৫-২৫ বছরে প্রায় ২১৬ কোটি সেবা গ্রহীতাকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন সারাদেশ ১৪ হাজার সার্ভিস প্রোভাইডারের চাকরী সরকারী হওয়ায় তাদের কাজের গতিশীলতা বেড়েছে। এবং গ্রামের মানুষের ডায়াবেটিক, প্রেশার ফাইন্ডআউট করে চিকিৎসার আওতায় আনা হচ্ছে। NCD রোগগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।জ্বর সর্দি কাশী চুলকানী মাথাব্যথা, ছোটখাট একসিডেন্টের চিকিৎসা দেয়া হয় প্রান্তিক ৭০% হতদরিদ্র মানুষকে।
সুস্থ মহিলাকে সারাজীবনের জন্য পংগু বানানোর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য নরমাল ডেলিভেরি করানো হয় এবং তাতে উৎসাহিত করা হয়। মনে রাখতে হবে এটি একটি Natural process.লোকাল প্রশাসন তথা ডিসি ইউএনও কে সম্পৃক্ত করার ফলে প্রান্তিক স্বাস্থ্য সেবা আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে এবং সিসিগুলো সাবলীল গতিতে চলছে।আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে ওয়ার্ড লেভেলে এই সেবা সমাদৃত হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এই কমিউনিটি ক্লিনিক বিজিট করে ভূয়সী পৃরশংসা করেছে।এবং অনুষ্ঠান শেষে সকল সাংবাদিকদের মাঝে একটি করে মগ উপহার দেন।
বিআলো/ইমরান