বিশ্ব নদী দিবসে পদযাত্রা: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নদীকে বাঁচাতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক: নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদ-নদী আজ অস্তিত্ব সংকটে-আড়াই শতাধিক নদী ইতিমধ্যেই মরে গেছে, বাকি নদীগুলোও হারাচ্ছে নাব্যতা। রাজধানী ঢাকার চারপাশের বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যার পানিতে এখন বর্জ্যের পরিমাণ পানির চেয়েও বেশি। মাত্রাতিরিক্ত দূষণে পানির রং কালো, নীল বা লাল হয়ে গেছে।
এ অবস্থায় নদীর ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা। বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে আয়োজিত পদযাত্রায় তাঁরা এ কথা বলেন। পদযাত্রাটি নয়াগাঁও থেকে শুরু হয়ে খোলামোড়া ঘাটে গিয়ে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি আমির হাসান মাসুদ। বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জি. এম. রোস্তম খান, নদী যোদ্ধা বাংলাদেশের সভাপতি মো. শাজাহান, আমরা দূর্বারের সভাপতি আব্দুস সালাম সময়, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন, স্বাধীন বাংলাদেশ জনতা পরিষদের সভাপতি মাহবুবুর রহমানসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, নদীকে ঘিরেই সভ্যতার বিকাশ, অথচ আজ নদীগুলো দখল-দূষণের শিকার। এর ক্ষতিকর প্রভাব মানুষের শরীরে ঢুকে পড়ছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ হুমকি তৈরি করছে।
পদযাত্রা থেকে সাত দফা দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে-সিএস রেকর্ড ও ভরা মৌসুমের প্রবাহকে ভিত্তি ধরে নদীর সীমানা নির্ধারণ, দখলী স্থাপনা উচ্ছেদ ও নদীর জমি নদীকে ফিরিয়ে দেওয়া, খাল ও প্লাবনভূমি পুনরুদ্ধার, নদী রক্ষা কমিশনকে পুনর্গঠন, দখল-দূষণকারীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা ও রাষ্ট্রীয় সম্মাননা না দেওয়া, এবং নদী দূষণকারীদের উপযুক্ত জরিমানা আরোপ।
বিআলো/এফএইচএস