বিশ্ব নদী দিবস: “নদী বাঁচাতে নদীতে আসুন” স্লোগানে জনসচেতনতা আয়োজন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ব্যতিক্রমী গণ-গোসল কর্মসূচি। “নদী বাঁচাতে নদীতে আসুন”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে সামাজিক সংগঠন তরী বাংলাদেশ আজ শনিবার শহরের ভাদুঘর বাজার ঘাটে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) রঞ্জন চন্দ্র দে। তিনি বলেন, নদী এখন অতিমাত্রায় দূষিত হচ্ছে, এর দায় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উভয়ের। নদী সুরক্ষায় সরকার আন্তরিক। তরী বাংলাদেশের এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে তরী বাংলাদেশের আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন, তিতাস নদী আমাদের প্রাণ। অথচ দখল-দূষণে তার দম বন্ধ হয়ে আসছে। বিশ্ব নদী দিবসে আমরা চাই মানুষ আবার নদীমুখী হোক। যত বেশি মানুষ নদীর সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে, নদী ততই প্রাণবন্ত থাকবে। তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নদীর পানি, সীমানা, নাব্যতা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন তরী বাংলাদেশের আহবায়ক কমিটির সদস্য খালেদা মুন্নী, সোহেল রানা ভূঁইয়া, সুশান্ত পাল, খাইরুজ্জামান ইমরান, মোস্তফা দেলোয়ার, আব্দুর সাকির ছোটন, জুবাইদুর রহমান মেহেদী ও শাকিল আহমেদসহ অনেকে। বক্তারা বলেন, গণ-গোসল নদীর সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন এবং দখল-দূষণের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ। তারা নদীর পানির গুণগত মান রক্ষা ও সাংস্কৃতিক বন্ধনে নদীর গুরুত্ব পুনরুদ্ধারের ওপর জোর দেন।
এদিনের আয়োজনে তরী বাংলাদেশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্য ছাড়াও স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, পরিবেশকর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, স্বেচ্ছাসেবক এবং নদীতীরবর্তী এলাকার শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
খালেদা মুন্নী বলেন, নদী সুরক্ষায় তরী বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও এমন সচেতনতামূলক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
বিআলো/এফএইচএস