• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম, দিশাহারা সাধারণ মানুষ 

     dailybangla 
    19th Sep 2025 4:56 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাজারে নিত্যপণ্যের লাগামহীন দাম ভোক্তাদের হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে ফেলেছে। মাছ, মাংস, ডিম, ডাল থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। আয়-ব্যয়ের হিসাব মিলছে না, ব্যয় কাটছাঁট করেও স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা।

    নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে আরও কঠিন। গত দুই মাসে দেশি পিঁয়াজ, ডাল, ডিম, মাছ ও সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই।

    গত দুই মাসের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ, ডাল, মুরগির ডিম, মাছ ও সবজির দামই অস্বাভাবিক বেড়েছে। টিসিবির বাজারদর পর্যালোচনায় দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়। ফার্মের মুরগির ডিম ডজনপ্রতি ১৩৫-১৪৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল কেজিপ্রতি ১৬০-১৮০, করলা ১০০-১২০, ঢেঁরস ও পটোল ৮০-১০০, বরবটি ১০০-১২০, শসা ৮০, ঝিঙা ৮০-১০০, দুন্দল ৯০-১০০, চিচিঙা ৮০, নতুন শিম ২২০-২৪০ ও কাঁচামরিচ ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে সস্তা সবজি হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে, যার দামও ৩৫-৪০ টাকা কেজি। আলুর দাম কেজিপ্রতি ২৫-৩০ টাকা।

    এমন পরিস্থিতিতে ক্রেতারা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। বাজার করতে আসা মহাখালী কাঁচাবাজারের ক্রেতা হেলাল উদ্দিন বলেন, সরকারের কোনো নজরদারি নেই বলেই বাজারে তালমাটাল অবস্থা চলছে। মাছ-মাংস কিনতে গেলে কয়েক হাজার টাকা নিয়ে যেতে হয়।

    এখন ছোট মাছের দামও নাগালের বাইরে। সীমিত আয়ের মানুষ প্রতি মাসে ঋণ না করলে সংসার চালাতে পারছে না।

    মিরপুর কাজীপাড়ায় বাজার করতে আসা ক্রেতা কামাল বলেন, আগে মাছ-মাংসের দাম বাড়লে ডিম ও সবজির ওপর নির্ভর করা যেত। কিন্তু এখন ডিম, সবজি— সব কিছুর দাম আকাশচুম্বী। মানুষ কোথায় যাবে? সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ দরকার।

    অন্যদিকে বিক্রেতারাও বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে কৃষকের ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, ফলে সরবরাহ কমেছে। বাড্ডা বাজারের সবজি বিক্রেতা হারুন জানান, পাইকারি বাজারেই আগের চেয়ে দ্বিগুণ দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরায়ও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। দাম বাড়ায় ক্রেতারা সবজি কেনা কমিয়ে দিয়েছেন, এতে আমাদেরও লোকসান হচ্ছে।

    বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সরবরাহ ঘাটতি নয়, বাজারে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও তদারকির অভাবও দায়ী। বাজার তদারকি না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।

    ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করা সংগঠন ‘ভোক্তা’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, ভোক্তারা এখন এতটাই সহনশীল হয়ে গেছে যে এই অস্বাভাবিক দামকে ভাগ্যের ফের মনে করছে। অথচ সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নিয়মিত বাজারে হস্তক্ষেপ করলে পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হতো না।

    তিনি আরো বলেন, নরসিংদীতে যে বেগুন ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হয়, ঢাকায় এসে সেটি ১৫০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এভাবে সরবরাহ শৃঙ্খলের বিভিন্ন ধাপে নৈতিক-অনৈতিক ভ্যালু এডিশনের কারণে দাম বাড়ছে।

    সাবেক অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরি বলেন, খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে না। এ জন্য বাজার ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনা জরুরি। পাইকারি পর্যায়ে মনোপলি ভাঙা, খাদ্য আমদানিতে শুল্ক কমানো এবং কৃষিপণ্যের সরাসরি বিপণন চ্যানেল শক্তিশালী করতে হবে। না হলে খাদ্যদ্রব্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকবেই।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930