• যোগাযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    বে-টার্মিনাল প্রকল্পে ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক 

     dailybangla 
    29th Jun 2024 6:30 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    বিআলো ডেস্ক: চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি খরচ কমানোর লক্ষ্যে বন্দরের বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে সহায়তা করতে ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৭ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়নের অংশ হিসেবে বে-টার্মিনাল নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে।

    সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড অব এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরসে এ সহায়তার অনুমোদন দেয়া হয়। শনিবার (২৯ জুন) সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামুদ্রিক এই অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প স্রোত এবং আবহাওয়ার চরম প্রতিকূল শক্তি থেকে পোতাশ্রয়কে রক্ষা করবে। এ লক্ষ্যে ৬ কিলোমিটার জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক ব্রেকওয়াটার নির্মাণ করা হবে। এর অংশ হিসেবে বন্দর বেসিন, প্রবেশদ্বার এবং অ্যাক্সেস চ্যানেল ড্রেজিং করা হবে। এছাড়া নতুন আধুনিক এই বে-টার্মিনাল শীর্ষ আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত হবে বলেও জানানো হয়েছে।

    বিশ্ব ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এর মাধ্যমে প্যানাম্যাক্স জাহাজের মতো বড় আকারের জাহাজ ঘোরানো আগের থেকে অনেক সহজ হবে। এতে প্রতিদিন আনুমানিক এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে।

    বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে, যা উল্লেখযোগ্য সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়। বে-টার্মিনাল একটি গেম চেঞ্জার হবে। এটি বর্ধিত বন্দর সক্ষমতা এবং পরিবহন খরচ ও সময় কমিয়ে আনার মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতার উন্নতি ঘটাবে।

    এর ফলে মূল বৈশ্বিক বাজারে নতুন সুযোগ উন্মোচন করবে। প্রকল্পটি কন্টেইনার টার্মিনাল উন্নয়নে বেসরকারি বিনিয়োগ একত্রিত করবে। সরকারি অর্থায়নের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ আস্থা বাড়াবে বিনিয়োগকারীদের। এটা সামগ্রিক বে-টার্মিনাল উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত ঝুঁকি কমাতে অবদান রাখবে।

    বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট হুয়া টান বলেন, বে-টার্মিনাল দেশের সমুদ্রবন্দর অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারে এর সংযোগ উন্নত করতে অবদান রাখবে।

    প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমার শেষ প্রান্তে সিইপিজেডের পেছনে সাগরপাড় থেকে সাগরিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের অদূরে রাসমনিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় ৯০০ একর ভূমিতে এই টার্মিনাল গড়ে তোলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বা বে টার্মিনাল সামুদ্রিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে সমুদ্রের পানির স্রোত ও চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া থেকে পোতাশ্রয়কে রক্ষায় করতে ছয় কিলোমিটার জলবায়ুসহিষ্ণু বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

    এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে বন্দরের প্রবেশদ্বার, অববাহিকা ও সংযোগকারী চ্যানেলগুলো ড্রেজিং করা হবে। সন্দ্বীপ চ্যানেলে বে টার্মিনাল নির্মিত হবে। এর অবস্থান চট্টগ্রাম বন্দরের পশ্চিমে; টার্মিনাল থেকে ঢাকামুখী সড়ক কাছাকাছি। এই টার্মিনালে বাংলাদেশের ৩৬ শতাংশ কন্টেইনার ওঠানামা করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিপিং কোম্পানি, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, মালবাহী ফরওয়ার্ডারসহ ১০ লাখের বেশি মানুষ এর মাধ্যমে সরাসরি উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    September 2025
    M T W T F S S
    1234567
    891011121314
    15161718192021
    22232425262728
    2930