বৈজ্ঞানিকভাবে মাছ চাষ খাদ্য নিরাপত্তায় নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে: ফরিদা আখতার
নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সিবাছ (কোরাল) মাছ চাষ বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং মাছের সরবরাহ ব্যবস্থায় একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে।
রোববার কক্সবাজারের কলাতলিতে অবস্থিত একটি আধুনিক গ্রিন হাউজ মেরিকালচার হ্যাচারি পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমি দেখে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে মাছের ব্রুড সংগ্রহ থেকে শুরু করে ডিম উৎপাদন পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক ও পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একটি হ্যাচারি হিসেবে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক বিষয় হলো—এই ধরনের মাছ চাষ শুধু কক্সবাজারসহ উপকূলীয় এলাকাতেই সীমাবদ্ধ নয়; উত্তরবঙ্গসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এর ফলে সারাদেশে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং জাতীয় খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।
ফরিদা আখতার জানান, সরকার সামুদ্রিক মৎস্য চাষ বা মেরিকালচার সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। তবে এই খাতে বেসরকারি উদ্যোগই হবে মূল চালিকাশক্তি। যত বেশি বেসরকারি উদ্যোক্তা এতে যুক্ত হবেন, তত বেশি প্রযুক্তি উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই বৈজ্ঞানিক মাছ উৎপাদন নিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, এ ধরনের আধুনিক ও টেকসই উদ্যোগ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি শুধু সরকারের একটি পরিকল্পনা নয়; বরং দেশের অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি শক্ত ভিত্তি।
পরিদর্শনকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিআলো/এফএইচএস



