ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড: ঘটনাস্থল পরিদর্শন, গ্রেফতার দুই এবং অপপ্রচারে সতর্কতা
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে গত ৯ জুলাই ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তৎপরতার বিস্তারিত তুলে ধরেছে। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুলিশের বিরুদ্ধে ছড়ানো অপতথ্যের বিষয়ে সতর্কবার্তাও দিয়েছে সংস্থাটি।
ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তখনই ঘটনাস্থল থেকে মূল অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মহিনকে হেফাজতে নেওয়া হয় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরে তারেক রহমান রবিন নামের আরেক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও কয়েকজন জড়িত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এদিকে, এ ঘটনায় পুলিশি পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো বিভিন্ন ভুল ব্যাখ্যার বিষয়ে ডিএমপি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ঘটনার প্রকৃত তথ্য না জেনে বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর তথ্য তদন্ত প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
এ কারণে ডিএমপি সবাইকে গুজব ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেছে, মামলার সুষ্ঠু তদন্তে পুলিশের ওপর আস্থা রাখুন। যে-ই অপরাধী হোক না কেন, দল-মত নির্বিশেষে আইনের আওতায় আনা হবে।
ডিএমপি আরও জানায়, সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সকল অপরাধীকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যেই মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
বিআলো/এফএইচএস