ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সিএনজি চালকদের কর্মবিরতির ঘোষণা
নিহারেন্দু চক্রবর্তী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি ও লাইসেন্স জটিলতার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক ও মালিকরা।
শনিবার (২৬ জুলাই) জেলা শহরের জেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রোববার (২৭ জুলাই) থেকে এই কর্মবিরতি কার্যকর হবে।
সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, সড়কে ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্নভাবে সিএনজি চালকদের হয়রানি করছে। মামলার ভয় দেখিয়ে ঘুষ আদায়, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ ও লাইসেন্স না থাকায় অনৈতিকভাবে জরিমানা করা হচ্ছে। বর্তমানে অন্তত ১০০টিরও বেশি সিএনজি অটোরিকশা জব্দ রয়েছে বলেও দাবি সংগঠনের।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গিয়ে বিআরটিএ অফিসে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সিএনজি লাইসেন্স কার্যক্রমও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ, ফলে চালক ও মালিকরা বৈধ কাগজপত্র নবায়নের সুযোগ পাচ্ছেন না।
সংগঠনের নেতারা জানান, প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হলেও কার্যকর কোনো সমাধান মেলেনি। বাধ্য হয়েই তারা শান্তিপূর্ণ ও অহিংস কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন হাজী মিজানুর রহমান, সভাপতি, জেলা সিএনজি মালিক সমিতি। সঞ্চালনা করেন হেবজুল করিম, সভাপতি, জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মো. বাহার চৌধুরী (বীর মুক্তিযোদ্ধা), মো. স্বপন মিয়া, আক্তারুজ্জামান, মো. কাদ্দুছ মিয়া, মো. আব্দুল্লাহ, মো. সেলিম মিয়া ও মো. মহসিন মিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মীর আনোয়ার হোসেন বলেন, আগে কী হতো সেটা বলা ঠিক নয়। এখন পুলিশ সুপার মহোদয় সব অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর। চালকরা অনেক সময় আইনের পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়ায় বলেই ব্যবস্থা নিতে হয়। তাদের অভিযোগ সত্য নয়।
বিআলো/এফএইচএস