ভুটানকে প্রদত্ত সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভুটানকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রদানকৃত অবকাঠামোগত সুবিধার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও গভীর করতে এই সুযোগগুলো কাজে লাগানো জরুরি। একইসঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র এখনো উন্মোচিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত দাশো কারমা হামু দর্জি তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত দর্জি ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিংয়ের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। বিশেষ করে ভুটানি শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা শিক্ষায় বাংলাদেশ যে সহযোগিতা দিয়ে আসছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে একটি ভুটানি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (Bhutanese Special Economic Zone) প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা দুই দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে আরও গতিশীল করে তুলবে। তিনি দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেন, শুধু রাষ্ট্রীয় পর্যায় নয়, দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বোঝাপড়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যুবসমাজের পারস্পরিক সফর ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তি আরও মজবুত হবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি একে অপরের সমাজ, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সম্পর্কে জানে, তাহলে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে টেকসই ও মানবিক ভিত্তি দেবে।
অধ্যাপক ইউনূস দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর চেতনাকে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে সার্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আঞ্চলিক ঐক্য ও সহযোগিতার ধারাবাহিকতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সার্ককে কার্যকর ও ফলপ্রসূ সংগঠনে পরিণত করতে চায়।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টা ভুটানের রাষ্ট্রদূত দর্জিকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তাঁর মেয়াদকালে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও বহুমাত্রিক হবে বলে আশা করা যায়। তিনি রাষ্ট্রদূতকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বিআলো/এফএইচএস