মহানবী (সা.) সীরাতের প্রামাণ্য উপস্থাপন মানুষের অন্তরে প্রোথিত থাকবে: ধর্ম উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক: ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, “মাসজিদ-উত তাকওয়া ধানমন্ডি সোসাইটি মহানবী (সা.)-এর সীরাত উপস্থাপনের যে অনন্য প্রয়াস নিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় ও প্রভাবশালী উদ্যোগ।” তিনি আরও বলেন, মহানবী (সা.)-এর সীরাতের প্রামাণ্য ও বাস্তবধর্মী উপস্থাপন মানুষের অন্তরে গভীরভাবে প্রোথিত থাকবে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাসজিদ-উত তাকওয়া সোসাইটি আয়োজিত ‘সীরাত আয়োজন ২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “কেবল শ্রবণ নয়, দৃষ্টি ও শ্রবণের সমন্বয়ে যে শিক্ষা অর্জিত হয়, তার স্থায়িত্ব অনেক বেশি। মাসজিদ-উত তাকওয়া সোসাইটি প্রতীকী উপস্থাপনার মাধ্যমে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনযাত্রা, প্রিয় খাদ্য, ব্যবহার্য জিনিসপত্র এবং স্মৃতি বিজড়িত স্থানসমূহ ফুটিয়ে তুলেছে। এতে নবীজির জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের জ্ঞানের পরিধি আরও প্রসারিত হবে এবং জানার আগ্রহও বাড়বে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও মাসজিদ-উত তাকওয়া সোসাইটির সভাপতি শেখ বশিরউদ্দীন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মসজিদের খতিব সাইফুল ইসলাম, ডা. এম এ আজিজ, হাসান সহিদ সিদ্দিকী, তাজুল ইসলাম ঢালী, জি এম ফারুক, রিয়াজ আহমেদ সফিউল্লাহ, প্রফেসর মোজাম্মেল হক, মামুন উর রশিদ পারভেজসহ স্থানীয় মুসল্লিরা।
ধর্ম উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, “রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন মানবজাতির শ্রেষ্ঠ আদর্শ। তাঁর চরিত্রে একত্র হয়েছে সকল মহৎ গুণাবলি। তিনি ছিলেন বিনয়ী, সহজ-সরল ও পরহেজগার। মহানবী (সা.)-এর সীরাত অনুসরণই মানবজীবনের প্রকৃত সার্থকতা।”
সভাপতির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “তাকওয়া মসজিদ কমিটি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সীরাতকে জনসাধারণের মাঝে উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে তিনদিনব্যাপী এ আয়োজন করেছে। এটি এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে সীরাতুন্নবী (সা.)-এর আয়োজন করা হবে।”
এর আগে দুই উপদেষ্টা মসজিদের চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় স্থাপিত সীরাত প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, তিনদিনব্যাপী এ আয়োজনে প্রতীকীভাবে প্রদর্শন করা হয় মহানবী (সা.) ও হযরত ফাতেমা (রা.)-এর বসতঘর, ব্যবহৃত তৈজসপত্র, পানির মসক, খেঁজুরপাতার ছাউনি, খাট, প্রিয় খাবারসহ নানা নিদর্শন। এছাড়া অনুষ্ঠিত হয় সীরাত বই প্রদর্শনী, সীরাত আলোচনা, নাশিদ সন্ধ্যা, শিশুতোষ আলোচনা, নারীদের জন্য বিশেষ হালাকা, ‘নবীজির সুবাস’, ‘রং তুলিতে নবীজির শহর’, ‘ফুড অব প্রফেট (সা.)’, ‘বায়োগ্রাফি অব প্রফেট (সা.)’ প্রতিযোগিতা এবং থ্রিডি অ্যানিমেশন শো।
বিআলো/তুরাগ