মাগুরায় কনস্টেবল পদে চূড়ান্ত সুপারিশ পেলেন ১৩ জন
সুমন সরদার: মাগুরায় কনস্টেবল পদে চূড়ান্ত সুপারিশ পেলেন ১৩ জন। ২৯ মে বৃহস্পতিবার মাগুরা পুলিশ লাইন্স এ আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা, বিপিএম, পিপিএম।
পুলিশ সুপারের সভাপতিত্বে নিয়োগ বোর্ডের সমন্বয়ে সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে ১৩ জন পুরুষ প্রার্থী কৃতকার্য হয়েছেন। নিয়োগ পদ্ধতির স্বচ্ছতায় মোট ১৩ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। যেকোনো চাপ, তদবির আর দুর্নীতিবাজ প্রতারক চক্রের বলয় ছিন্ন করে গেল ছয় বারের মতো এবারও একটি স্বচ্ছ, দুর্নীতি মুক্ত ও নিরপেক্ষ নিয়োগের জন্য জেলা পুলিশ শুরু থেকেই তৎপর ছিল।
মাগুরা জেলার পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা, বিপিএম, পিপিএম আগে থেকেই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে পুলিশের একটি দক্ষ টিমের সাহায্যে মাগুরাবাসীকে সতর্ক করে জানান যে, নিয়োগের ক্ষেত্রে সব প্রার্থীর মূল্যায়নের একমাত্র ভিত্তি হবে মেধা ও যোগ্যতা। শুধু সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি সর্বমোট ১৬০ টাকার বিনিময়ে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মোট ১৩ জন প্রার্থী চাকরির জন্য নির্বাচিত হবেন।
এক্ষেত্রে, কোনো প্রকার অবৈধ আর্থিক লেনদেন কিংবা অনৈতিক যোগাযোগ প্রার্থীর অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে এবং একই সঙ্গে সাইবার স্পেসে ও মাঠপর্যায়ে গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো হয় যাতে এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে কোনো প্রতারক চক্র বা স্বার্থান্বেষী মহল কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ভিকটিমাইজড করতে না পারে। আর এভাবেই কঠোর নজরদারি বজায় রেখে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী নিয়োগ পদ্ধতির মাধ্যমে তিনটি কঠোর ধাপ পেরিয়ে প্রায় ৯১১ প্রার্থীর মধ্যে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ প্রাপ্ত হলেন ১৩ জন।
পুলিশ সুপার জনাব মিনা মাহমুদা, বিপিএম পিপিএম বলেন চাকরি পাওয়ার জন্য প্রার্থীরা অনেক সময় সুপারিশ এবং ঘুষ দেওয়ার চিন্তা করেন। এজন্য বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগও করতে থাকেন। তখন চাকরিপ্রার্থীদের দুর্বলতার সুযোগ নেয় দালালরা। তারা চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রার্থীদের সঙ্গে অবৈধ অর্থ লেনদেন করেন।
পরবর্তীতে নিজ যোগ্যতায় চাকরি পেলেও ভাবেন হয়তো অবৈধ অর্থ লেনদেনের কারণেই চাকরি পেয়েছেন। তবে এসব বিষয় মাথায় রেখে ছয় বারের মতো নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয় এবং সতর্কতার সঙ্গে তা বাস্তবায়ন করা হয়।
মাগুরা জেলা পুলিশ সুপারের এই শক্ত অবস্থানের কারণে ঘুষ ও সুপারিশ ছাড়া ১৩ জনের পুলিশে চাকরি হয়েছে। এ স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণে সমর্থ হওয়ায় মাগুরাবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিআলো/শিলি