মাধবপাশা ভলান্টিয়ার্সের উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
আমিনা ফেরদৌসী: দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে চলমান বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এখনও দেশের বন্যা আক্রান্ত জেলা ১১টি। সেখানে ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। সেগুলো হলো- ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর এবং কক্সবাজার। এখনও দেশের ৬৮টি উপজেলা বন্যাপ্লাবিত রয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন বা পৌরসভা রয়েছে ৫০৪টি বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। বর্তমানে পানিবন্দি ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫টি পরিবার পানিবন্দি।
দেশের এমন পরিস্থিতিতে বন্যাকবলিত মানুষদেরকে উদ্ধার ও খাদ্যদ্রব্য সরবরাহে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বরিশালের স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ‘মাধবপাশা ভলান্টিয়ারর্স’-এর উদ্যোগে গতকাল শনিবার নোয়াখালীতে মাধবপাশা ভলান্টিয়ারর্সের সদস্যরা বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও শুকনো পোশাক বিতরণ করেন। বানভাসি পরিবারের ত্রাণ সহায়তায় প্রতি ১টি করে পরিবারের মাঝে বিতরণের জন্য প্যাকেজিংয়ের মধ্যে রয়েছে: চাল ৫ কেজি, ডাল ৫০০ গ্রাম, আলু ১ কেজি, পিঁয়াজ ৫০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল ৫০০ গ্রাম, হলুদ গুড়া ১ প্যাকেট, মরিচ গুড়া ১ প্যাকেট, মোমবাতি ৬ পিছ, গ্যাস লাইটার ১টি, মশার কয়েল ১০ পিছের ১ প্যাকেট, ওষুধ (নাপা, ফিলমেট), স্যালাইন, সাবান ১ পিছ, মেয়েদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন, ভালো মানের বিস্কুট ১ প্যাকেট এবং বরিশালের বিশুদ্ধ পানি (৫ লিটার)। মাধবপাশা ভলান্টিয়ারর্সের সমম্বয়করা বলেন, বন্যাকবলিত এলাকার লোকজন এখনো মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ভয়াবহ বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষগুলোর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে সারা দেশের সকলকে এক সঙ্গে পাশে থাকতে হবে। এছাড়াও বন্যা-পরবর্তী দিনগুলো নিয়ে আমাদের সকলকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকা দরকার।