“মায়ের শিক্ষা”: উৎসর্গ-মরহুমা লাইলী বেওয়া
আকাশ’দের বাড়ির পাশে
ইয়া বড় গাছ,
একটা ডালে ঠেসে আছে
মস্ত বড় বাঁশ।
বাঁশের ডালে পেয়ারা গুলি
বড় বড় ডাসা,
ওইখান হতে খাব আমি
মনে বাঁধল আশা।
খাব কেমন করে আমি
পেয়ারা গুলি পেড়ে,
ভেবে নিলাম কি করব আর
খাব চুরি করে।
গুটি গুটি পায়ে গেলাম
আকাশ’দের গাছে,
উঁচু উঁচু ডালে কেমন
পেয়ারা ঝুলে আছে।
কেমন করে পাড়ব আমি
ঢিলের নুড়ি কই,
গুটি কতক পেয়ারা পাড়লাম
চেপে বাঁশের মই।
পেয়ারা নিয়ে বাসায় এলাম
খুশি মন নিয়ে,
মা’য়ে বড্ড খুশি হবে
পেয়ারা গুলি খেয়ে।
ও মা’গো মা ও মা
দেখ না কী?
তোমার জন্য গুটি কতক
পেয়ারা এনেছি।
মা’য়ে বলে বলরে আমায়
পেয়ারা পেলি কই,
সত্য না বললে তোর
পিঠে ভাঙিব মই।
গুটিসুটি হয়ে আমি
মায়ের কাছে বলি,
আকাশ’দের গাছের পেয়ারা আমি
এনেছি চুরি করি।
কি…. বললি রে খোকা
মানুষ কে দিলি ধোঁকা,
এ মুহূর্তে তারে দিয়ে
দেব তোরে সাজা।
চল’রে খোকা আকাশ’দের বাড়ি
আমায় নিয়ে চল,
ওদের বিচার ওরাই করবে
আর করিস না ছল।
ভয়ে আমার কলিজা কাপে
ধুকপুক করে বুক,
মায়ে আমায় কি বলে
পাইব ফিরে দুখ।
দুখ যেন দুখ ত নয়
পাইলাম পুরুস্কার,
চুরি করার ফল পেলাম
এ কেমন বিচার?
মায়ে বলে দোষ স্বীকারে
আছে পুরুস্কার,
তাই বলে একই ভুল
করিস না বারবার।
দিনশেষে ভাবলাম আমি
আর করব না চুরি,
ভালো হয়ে যাব আমি
মায়ের কথা শুনি।
সেই হতে মায়ে আমার
কি দিল শিক্ষা,
আজ আমার মা নাই
আছে সেই দীক্ষা।
মায়ের শিক্ষা”: উৎসর্গ-মরহুমা লাইলী বেওয়া
(আমার আম্মা)
কলমে- সাব্বির হোসেন টুটুল
তাং-১৯-০৬-২৫
বিআলো/তুরাগ