মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে শ্রম উপদেষ্টার বৈঠক
বাংলাদেশের শ্রম আইন সংশোধন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে গুরুত্বারোপ
নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্রম ও কর্মসংস্থান ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ে উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া) ব্রেন্ডান লিঞ্চ, ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ডিরেক্টর (দক্ষিণ এশিয়া) ইমিলি অ্যাসবি, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন, শ্রম বিষয়ক অ্যাটাসে লিনা খানসহ উভয় দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধনের অগ্রগতি।
উপদেষ্টা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ১১ দফা, আইএলও’র রোডম্যাপ, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং ইউরোপীয় অ্যাকশন প্ল্যান থেকে বিভিন্ন বিষয় ইতোমধ্যে আইনি কাঠামোয় সন্নিবেশিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিত করতে আরও সংশোধনী আনার কাজ চলছে।
শিশুশ্রম নির্মূলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই আইএলও কনভেনশন ১৩৮ ও ১৮২ অনুস্বাক্ষর করেছে। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা (C155, C187) এবং সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধে (C190) গুরুত্বপূর্ণ তিনটি কনভেনশন অনুস্বাক্ষরের প্রস্তুতি চলছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে আইএলও’র ১০টি মৌলিক কনভেনশন অনুস্বাক্ষরকারী হবে।
ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন নিয়ে আলোচনায় উপদেষ্টা জানান, ন্যূনতম সদস্যসংখ্যা নির্ধারণে শতকরা হার বাদ দিয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে। পাশাপাশি শ্রমিকদের ব্ল্যাকলিস্টিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডে শাস্তির বিধান সংযোজন করা হচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা শ্রমিক অধিকার রক্ষা ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। এখন প্রয়োজন বৈশ্বিক ক্রেতাদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্য পাওয়া।”
মার্কিন প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চ বাংলাদেশের শ্রম খাতের অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক মানে আরও আধুনিক করার ওপর গুরুত্ব দেন।
উভয় পক্ষই শ্রম খাতে সহযোগিতা বাড়ানো, নতুন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়ে একমত হন।
বিআলো/তুরাগ