মাসিক তিন বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সে কমবে বিদেশি ঋণ নির্ভরতা
নিজস্ব প্রতিবেদক: রফতানি ও প্রবাসী আয়ের সাথে দেশের সার্বিক ব্যয় সমন্বয়ে নির্ভর করতে হয় বিদেশি ঋণে। বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশি ঋণ নেয় সাড়ে ৯ বিলিয়ন ডলার। আর শেষ অর্থবছরে ছিল ৮ বিলিয়ন ডলার।
বিশেষ করে বার্ষিক ব্যয়ের ঘাটতি পূরণেই উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে হাত পাততে হয় বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বিদেশি ঋণের পরিমাণ প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ওই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের স্থিতি হয়েছিল ১০০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৬৪ কোটি ডলার। এর পরের তিন মাসে বিদেশি ঋণের স্থিতি কিছুটা কমে আসে। গত মার্চ মাসের শেষে তা দাঁড়ায় ৯ হাজার ৯৩১ কোটি ডলারে।
তবে পরের তিন মাসে বিদেশি ঋণ আবার বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৪১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ১১৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত ৯ বছরে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।
এদিকে, গত অর্থবছর ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে দেশে, যার পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তাই বিদেশি ঋণ নির্ভরতা কমিয়ে আনতে পারে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি ও ডলার বন্ডে বিনিয়োগের বাড়তি জোয়ার। এজন্য প্রতিমাসে কমপক্ষে শুধু রেমিট্যান্স আনতে হবে তিন বিলিয়ন ডলার।
প্রবাসে লাখ লাখ শ্রমিক এখন অবৈধ। ভিসাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধান ও অবৈধ শ্রমিকদের রেমিট্যান্স পাঠাতে কৌশলী হওয়ার পরামর্শ ব্যাংকারদের।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি সঞ্চিয়া বিনতে আলী বলেন, “যেসব প্রবাসী ব্যাংকের আওতার বাইরে রয়েছে, তাদের যদি অন্তর্ভুক্ত করা যায় তাহলে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে।”
অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “যেসব প্রবাসীর বৈধতা নেই, তারা প্রবাসে অবস্থান করা পরিচিত লোকদের সহায়তায় ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেন।”
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক এমডি ইসমাইল হোসেন বলেন, “রেমিট্যান্স পাঠানো প্রবাসীদের চার্জ ফ্রি করতে পারলে হার বাড়বে। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না কারণ, বিদেশে আমাদের দেশীয় ব্যাংক এবং মালিকানাধীন এক্সচেঞ্জ কোম্পানি খুব কম।”
বিআলো/শিলি