মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: এজাহার থেকে নাম বাদ দেয়া নিয়ে যা বলছে পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এজাহার থেকে পুলিশ কারও নাম বাদ দেয়নি বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) নজরুল ইসলাম।
বুধবার (১৬ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
নজরুল ইসলাম বলেন, এজাহার থেকে পুলিশ কোনো কাটছাঁট করেনি। সোহাগের স্ত্রী প্রথমে এজাহার দিয়েছে। পরে সোহাগের বোন সেই এজাহার থেকে ৫ জনের নাম সরিয়ে ফেলে মামলা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও ব্যক্তিগত কোন্দল থেকেই এ হত্যাকাণ্ড। সোহাগ ও অভিযুক্তরা চোরাই অ্যালুমিনিয়াম তার বিক্রি করতো। গত ১৭ বছর ধরেই করে। ৫ আগস্টের পর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেই দ্বন্দ্ব থেকেই এ হত্যা। এতে নির্বাচন বানচাল, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র নেই।
এদিকে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, সোহাগকে হত্যার পর অভিযুক্তরা মব তৈরির চেষ্টা করে। পুলিশ বুঝতে পেরে সেই মব থেকেই মহিন ও রবিন নামের দুজনকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করে।
সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পটুয়াখালী থেকে রেজওয়ান নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে হত্যায় মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই।
গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে সোহাগকে প্রকাশ্যে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে পরেরদিন মামলা করেন।
বিআলো/শিলি