মিথ্যা মামলায় ১০ মাস ধরে কারাবন্দি দিলীপ আগরওয়ালা
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের শীর্ষ জুয়েলারি ব্যবসায়ী এবং বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের একাধিকবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা মিথ্যা অভিযোগে প্রায় ১০ মাস ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতার পরও উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাঁকে একাধিক হত্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর সহকর্মীরা।
গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রাতে গুলশানের নিজ অফিস থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। কর্মীরা দাবি করেছেন, দিলীপ আগরওয়ালা কখনোই কোনো সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, বরং তাঁর নির্দেশে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত ছাত্রদের খাবার, পানি ও ছাতা সরবরাহ করা হয়েছিল।
বিশিষ্ট এই শিল্পোদ্যোক্তা দেশের স্বর্ণ ব্যবসার নীতিমালা প্রণয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সমাজসেবায়ও অবদান রেখেছেন। তাঁর মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত তারা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। কোভিড মহামারীতেও তিনি নানা সহযোগিতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন।
তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোকে ‘ব্যবসায়িক শত্রুতার ফসল’ বলে অভিহিত করেছেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের দাবি, দিলীপ আগরওয়ালার নাম মামলার বাদীদের অজ্ঞাতসারেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, দিলীপ আগরওয়ালা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন। জামিনের আবেদন বারবার করা হলেও আদালত তাতে সাড়া দিচ্ছেন না বলে পরিবার অভিযোগ করেছে।
প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দিলীপ আগরওয়ালা দেশের একজন স্বনামধন্য করদাতা ও পাঁচবারের সিআইপি। টানা ৯ বার খুলনা বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ করদাতার স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। তাঁর অনুপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
তাঁর দ্রুত জামিন ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা ও পরিবারবর্গ। তাঁরা সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিআলো/তুরাগ