মুকসুদপুরে রেইনট্রি গাছের ‘ভাইরাস’ পোকা বিক্রি করে চলছে শত শত পরিবার
বাদশাহ মিয়া, মুকসুদপুর: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে রেইনট্রি গাছের ভাইরাস পোকার সংগ্রহ ও বিক্রি দিয়ে চলছে শত শত পরিবারের সংসার। লাভজনক হওয়ায় অনেকেই তাদের মূল পেশা ছেড়ে এই ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছেন।
গ্রাম থেকে সংগ্রহ:
উপজেলার ভাবড়াশুর, মোচনা ও পশারগাতী ইউনিয়নে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভাইরাস পোকার সংগ্রহ চলে। স্থানীয় যুবকরা ইঞ্জিন চালিত ভ্যানগাড়ি নিয়ে উজানী এলাকা থেকে ভাইরাসযুক্ত ডাল সংগ্রহ করে বাড়িতে নিয়ে আসে। প্রথমে গ্রামে গ্রামে ঘুরে সংক্রমিত ডালের সন্ধান করা হয়, পরে গাছের মালিকের সঙ্গে দর নির্ধারণ করে ডাল সংগ্রহ করা হয়।
সংগ্রহ থেকে বাজারে বিক্রি:
সংগৃহীত ডাল থেকে নারী শ্রমিকদের দিয়ে ভাইরাস ছাড়ানো হয়। বস্তায় করে স্থানীয় কলিগ্রাম ও গোপালগঞ্জ সদরের বাজারসহ অন্যান্য আড়তে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়। আড়ৎদাররা জানান, তারা গাছ থেকে সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে কিনে অন্য জায়গায় ৫৫০ টাকায় বিক্রি করেন। তবে ভাইরাসের সঠিক ব্যবহার জানা না থাকলেও লোকমুখে বলা হয়, এটি আসবাবপত্রের রং ও আঠা তৈরিতে ব্যবহার হয়।
মুকসুদপুর উপজেলার শতশত নারী-পুরুষ এই ব্যবসায় জড়িত। বেকার যুবকরাও ডালে থাকা ভাইরাস আলাদা করে পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন। কিছু বছর আগে প্রতি কেজির দাম ছিল প্রায় ১০০০ টাকা, বর্তমানে দাম কমে ৩৫০-৫০০ টাকার মধ্যে নেমেছে।
মুকসুদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার বাহাউদ্দীন শেখ জানিয়েছেন, স্থানীয়রা যাকে ভাইরাস বলছেন, সেটি মূলত গাছের লাক্ষা পোকা। এটি বিভিন্ন গাছে দেখা যায়, বর্তমানে রেইনট্রি গাছে বেশি। অনেকে গাছ থেকে এটি ছাড়িয়ে বিক্রি করছেন।
- বিআলো/তুরাগ