মেঘনায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানদের প্রবেশ ঠেকাতে ছাত্রদলের হুঁশিয়ারি
ছাত্রদলের হুঁশিয়ারি: স্বৈরাচারী চেয়ারম্যানদের কোন স্থান নেই
চেয়ারম্যানদের প্রতিক্রিয়া: নির্বাহীকে স্বাগত, নৈরাজ্যে অনীহা
প্রশাসনের অবস্থান: “কোনো সরকারি নিষেধাজ্ঞা নেই”
মো. শাহাদাত হোসেন তালুকদার (সাকু), মেঘনা, কুমিল্লা:
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় আওয়ামী লীগের কোনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদে প্রবেশ করলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে উপজেলা ছাত্রদলের একাংশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে নানা আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
এর আগে, ১৭ সেপ্টেম্বর বুধবার উপজেলা পরিষদের সামনে আয়োজিত এক কর্মসূচিতে মেঘনা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সোলাইমান এই হুঁশিয়ারি দেন। এ সময় তার সমর্থক নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রদল নেতা মো. সোলাইমান তার ভিডিও বক্তব্যে বলেন, “ইতিমধ্যে আমরা দেখেছি, মেঘনা উপজেলা পরিষদের বিগত স্বৈরাচার হাসিনার প্রেতাত্মা বাহিনী এখনও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ দখল করে রেখেছেন। তারা এখনো ইউনিয়নভিত্তিক নৈরাজ্য চালানোর চেষ্টা করছেন।”
তিনি আরও বলেন, “স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের এই উপজেলায় কোনো স্থান নেই। আমাদের নেতা, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেনও বলেছেন, আওয়ামী লীগের কোনো চেয়ারম্যান যদি উপজেলা পরিষদে প্রবেশের চেষ্টা করে, তবে তাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে। মেঘনায় স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের কোনো ঠাঁই হবে না।”
অন্যদিকে, একাধিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন, “আমরা নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছি। যদি আমরা স্যারের সঙ্গে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করি, প্রমাণ হলে প্রশাসন আমাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।”
মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুর রহমান বলেন, “আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের উপজেলা পরিষদে প্রবেশ বা কার্যক্রম বন্ধে সরকার পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এছাড়া কোনো চেয়ারম্যানও নৈরাজ্য বা পায়তারা করার চেষ্টা করেননি।”
বিআলো/তুরাগ