মেঘনা নদীতে ডুবে গেল ৬টি বাল্কহেড, ১৩ জন উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ছয়টি বাল্কহেড ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ঝড়ের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরও একটি বাল্কহেড চরে আটকা পড়েছে। ডুবে যাওয়া বাল্কহেড থেকে ১৩ জনকে স্থানীয় জেলেরা নৌ-পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করেছেন।
শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মেহেন্দিগঞ্জের কালিগঞ্জ নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. এনামুল হক।
উদ্ধারকৃতরা হলেন- মো. সোহেল, আবাদুস সালাম, মো. অলি উদ্দিন, মো. বাকির হোসেন, সোহরাব হোসেন, মো. শহীদুল্লাহ, নজির হোসেন, মো. বাহাদুর, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. আব্দুল্লাহ, আব্দুল্লাহ মিয়া, মো. শহীদুল ও মো. নাহিদ ইসলাম।
রনজিতপুর ১ বাল্কহেডের মাস্টার বাহাদুর জানান, বালুবোঝাই করে সিলেট থেকে বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন তারা। মাঝপথে মেঘনা নদীতে ঝড় এবং প্রবল স্রোতের মধ্যে পড়ে তাদের জাহাজ ডুবতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের জাহাজটি একটি চরের মধ্যে নিয়ে নোঙর করতে পারলেও তাদের চোখের সামনে ৭টি জাহাজ ডুবে যায়।
নাহিদ হাওলাদার জানান, তাদের রনজিত ১ বাল্কহেড সিলেট থেকে বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে মেহেন্দিগঞ্জের মেঘনায় এসে ঝড়ের কবলে পড়েন। তাদের জাহাজটি একটি চরের মধ্যে নিতে পারলেও অপর ৭টি বাল্কহেড চোখের সামনেই ডুবে যায়। ওইসব বাল্কহেডের স্টাফরা নদীতে ভাসতে দেখেন তিনি।
এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জের কালীগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. এনামুল হক জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে খবর পায় ৫টি বাল্কহেড মেঘনায় ডুবে গেছে। ঘটনার খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল গিয়ে নদীতে ভাসতে থাকা ১৩ জনকে উদ্ধার করেন। কেউ নিখোঁজ আছে কিনা জানেন না। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের স্থান চিহ্নিত করা কিংবা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে মালিক কর্তৃপক্ষ বাল্কহেডটি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। মেহেন্দিগঞ্জ নৌ-পুলিশ ইউনিটের টহল টিমের তৎপরতা অব্যাহত আছে। তবে বাল্কহেডগুলোর সন্ধান মিলেনি।
বিআলো/শিলি