মৌসুমি বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত: ভোলা-লক্ষ্মীপুরসহ ৮টি নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা ভারী বর্ষণে ভোলা জেলার জনজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নদ-নদী উত্তাল হয়ে উঠায় ভোলা উপকূলীয় অঞ্চলের ৮টি গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
ভোলা আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার দুপুর ১২টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত) ১৩২ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ। এর মধ্যে শুধুমাত্র মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
অভ্যন্তরীণ নদীপথে সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত এবং দেশের সকল অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরকে ১ নম্বর নৌ-সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
জেলায় এ টানা বর্ষণের ফলে শহরের প্রধান সড়ক ও অলিগলিসহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। উপজেলা শহরগুলোর অবস্থাও একই।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষজন। দিনমজুর, রিকশাচালক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কাজের অভাবে অলস সময় কাটাচ্ছেন। জলাবদ্ধতায় ঘর থেকে বের হওয়াও কষ্টকর হয়ে পড়েছে অনেকের জন্য।
বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক মো. রিয়াদ হোসেন বাসসকে জানান, বৈরি আবহাওয়ার কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভোলা-লক্ষীপুর, চরফ্যাশন-মনপুরা, তজুমদ্দিন-মনপুরা, দৌলতখান-আলেকজান্ডারসহ মোট ৮টি রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াত করতে চাওয়া যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে উপকূলের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। এতে শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মনিরুল ইসলাম জানান, এই বৃষ্টিপাত ১২ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বিআলো/এফএইচএস