মৌসুমের শেষ সময়ে হাঁড়িভাঙায় লোকসানের শঙ্কা
নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌসুমের শেষ সময়ের বেচাকেনায় জমে উঠেছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় আম হাঁড়িভাঙার বাজার।
তবে দাম কিছুটা বাড়লেও কীটনাশক ও পরিচর্যা ব্যয়ের চাপ, আগাম ফলন আর বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতায় লোকসানের শঙ্কায় বাগানিরা। তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শ, হাঁড়িভাঙার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের আম চাষ বাড়ানো গেলে কমবে লোকসানের শঙ্কা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেষ সময়ে জমে উঠেছে হাঁড়িভাঙা আমের বাজার। রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জ হাটে প্রতিদিন ভিড় করছেন পাইকাররা। দেশের অন্যতম জিআই ট্যাগপ্রাপ্ত আম হিসেবে হাড়িভাঙার চাহিদা বরাবরই বেশি।
তবে চলতি মৌসুমে জুনের প্রচণ্ড গরমে আগেভাগেই পেকে গেছে আম। অন্যদিকে বাগান পরিচর্যায় খরচ বেশি হওয়ায় মৌসুম শেষে লোকসানের শঙ্কা রয়েছে বলে জানান বাগানিরা। রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আম বাগানি
মফিজুর রহমান বলেন, ‘এখন তো গাছে আর আম নাই। পেকে শেষ হয়ে গেছে। এখন বাজারে আম বিক্রি করতেছি ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত। তাতে তো আমাদের পোষাচ্ছে না। কারণ প্রথম দিকে যেমন ফলন ছিল, সেক্ষেত্রে দামটা কম ছিল।’
মফিজুর রহমানের মতো উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের আরেক আম বাগানি জয়নাল ইসলাম বলেন, ‘এবারে ওষুধ পাতি যে হারে দেয়া লাগছে, এর জন্য আর পোষাচ্ছে না। এবার আমাদের লোকসানে পড়তে হবে।’
তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শ, হাড়িভাঙার পাশাপাশি অন্যান্য জাতের আম চাষ করলে চাষিরা লাভবান হবেন।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সংরক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ মো. এনামুল হক বলেন, ‘শুধু হাড়িভাঙার ওপর নির্ভরশীল না থেকে যে জাতগুলো রফতানিযোগ্য সেগুলো পাশাপাশি আবাদ করতে কৃষকের পরামর্শ দেন। আমাদের বেশ কিছু চাষি কনভার্ট করেছে। হাঁড়িভাঙা আমের পাশাপাশি আম রুপালি, ব্যানানা ম্যাঙ্গো, বারি ফোর এগুলো তারা চাষ করতেছে। এবং তারা বেশ লাভবান হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, চলতি মৌসুমে রংপুর জেলায় এক হাজার ৯১৫ হেক্টর জমির বাগানে হাঁড়িভাঙা আমের উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন।
বিআলো/শিলি