যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতিতে ফ্রান্সের অ্যালকোহল ব্যবসায় উদ্বেগ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্কারোপ করায় চরম বিপাকে পড়েছেন ফরাসি অ্যালকোহল ব্যবসায়ীরা। আগেই খরচ কমাতে উৎপাদন কমিয়েছিলো অ্যালকোহল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন ব্যবসা টিকিয়ে রাখা নিয়েই শঙ্কায় তারা।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৯ এপ্রিল থেকে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হতে যাচ্ছে ইউরোপের সব পণ্যের ওপর। মার্কিন প্রেসিডেন্টের নয়া নির্বাহী আদেশে শঙ্কায় ফরাসী অ্যালকোহল ব্যবসায়ীরা।
এর আগে ফ্রান্সের মদের অন্যতম আমদানীকারক চীনও এই পণ্যে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল।
ফ্রান্সে তৈরি মদের প্রধান দুটি আমদানীকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের শুল্কারোপের জেরে ফরাসি মদে কড়াকড়ি আরোপ করেছিলো বেইজিং। গেল এক বছরে অর্ধেকে নেমেছে চীনের বাজারে ফরাসি পানীয় রফতানির পরিমাণ। এবার যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক ধার্য করায় অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা নিয়েই শঙ্কায় ফরাসী ব্যবসায়ীরা।
ইইউ ভুক্ত দেশগুলোর উপর বর্ধিত শুল্কারোপে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ইউরোপের অন্যদেশগুলোর পানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝেও। ভয়ে ওয়াইন ব্যবসায়ীদের অনেকেই বিক্রি করে দিচ্ছেন নিজেদের আঙ্গুরের বাগান। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বিকল্প উপায় খুঁজছেন কেউ কেউ।
এদিকে মার্কিন অ্যালকোহল জাতীয় পণ্যে শুল্কারোপ করলে ইউরোপের উপর অতিরিক্ত ২শ’ শতাংশ পাল্টা শুল্কারোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
উল্লেখ্য প্রথম মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটার বার্তায় লিখেছিলেন, ‘আমাদের মহান আমেরিকার প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর ডিজিটাল ট্যাক্স বসিয়েছে ফ্রান্স। আমরা খুব শীঘ্রই যথাযথ পাল্টা পদক্ষেপের মাধ্যমে ম্যাকরনের নির্বুদ্ধিতার জবাব দেব।’
ওই টুইটে ওয়াশিংটন ফ্রান্সের ওয়াইনসহ (মদ) কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করবে বলেও ইঙ্গিত দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ‘আমি বরাবরই বলে আসছি, ফরাসি ওয়াইনের চেয়ে আমেরিকার ওয়াইন ভালো’, যোগ করেন ট্রাম্প। আশ্চর্য হলেও সত্যি, প্রায় ৫ বছর পর তাই ঘটে গেলো।
বিআলো/শিলি