যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে নতুন সাফল্য: মূল্য সংযোজিত পণ্যে দ্বিতীয় বাংলাদেশ
বিআলো ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মূল্য সংযোজিত পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান এক ধাপ এগিয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই সূচকে শীর্ষে রয়েছে কম্বোডিয়া, আর বাংলাদেশ উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম।
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মূল্য সংযোজিত পণ্যের রপ্তানিতে কম্বোডিয়া শীর্ষে রয়েছে ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশ, যা দেশটিকে দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে গেছে। ভিয়েতনাম রয়েছে তৃতীয় স্থানে, তাদের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ।
এ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রধান রপ্তানিকারক দেশ যেমন জাপান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও তাইওয়ান মূল্য সংযোজিত পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারেনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এশিয়ার দেশগুলোর রপ্তানির প্রধান বাজার এখনো ইউরোপ ও আমেরিকা। এই অঞ্চলগুলোতে পণ্য রপ্তানি ও প্রবাসী আয়- দুই উৎস থেকেই এশীয় দেশগুলো বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। এর ফলে আমদানি ব্যয় মেটানো ও বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিপত্রে ভারসাম্য রক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
আইএমএফ বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এমন এক বাজার, যেখানে রপ্তানিকারক দেশগুলো মূল্য সংযোজনের হার বাড়াতে প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতায় রয়েছে। শ্রমবাজারের উন্নয়ন, কর্মপরিবেশের মানোন্নয়ন এবং পণ্যে মূল্য সংযোজন বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে এই প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হচ্ছে।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক খাতই সবচেয়ে বড় মূল্য সংযোজিত রপ্তানি খাত। পাশাপাশি চামড়াজাত ও হস্তশিল্প পণ্যেও রপ্তানি বাড়ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্ত করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪ দশমিক ৯ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এর আগে ১৬ অক্টোবর প্রকাশিত আইএমএফের ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’-এও একই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
বিআলো/শিলি



