রাউজানে চিকিৎসক অপহরণে দুই আসামি কারাগারে
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের রাউজান থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকায় চাঁদা না পেয়ে চেম্বার থেকে তুলে নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম (৫৫) নামে এক চিকিৎসককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় দুই আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একই আদেশে অপর আরেকজনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন পাইওনিয়ার হসপিটালের পরিচালক মনজুর হোসেন এবং সুপারভাইজার মো. জাহাঙ্গীর আলম। জামিনপ্রাপ্ত আসামি হলেন হাসপাতালটির চেয়ারম্যান ডা. ফজল করিম ওরফে বাবুল।
বুধবার চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক কাজী সহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিনপ্রাপ্ত হয়ে আজ বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাদের মধ্যে দুইজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ এবং পুলিশি প্রতিবেদন জমা পর্যন্ত অপর একজনকে জামিন দেন।
এর আগে চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুক্তভোগী চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন রাউজান থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) টোটন মজুমদার, রাউজান থানার সাবেক এসআই শাফায়েত আহমদ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়ার বাসিন্দা চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় পথের হাটে তার পরিচালিত প্রাইভেট চেম্বার অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখছিলেন। এসআই টোটন মজুমদার তাকে বিএনপির কমিটিতে নাম থাকায় ক্রসফায়ার দেওয়ার হুমকি দেন অন্যথায় বাঁচতে চাইলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় এসআই টোটন মজুমদার, এসআই শাফায়েত আহমদ, রাউজান থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমকে চেম্বারে গিয়ে অপহরণ করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল দুপুরে নোয়াপাড়ার অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাকে সাদা পোশাকে অপহরণ করা হয়। এরপর তার মাথায় পিস্তল রেখে চিৎকার না করতে বলে এবং আসামিরা চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মারধর করে। পরে এসআই টোটন মজুমদারসহ আসামিরা মিলে ২০১৫ সালে ৪ এপ্রিল তারিখের একটি মিথ্যা মামলা সাজায়।
বিআলো/তুরাগ