রাবিতে শিক্ষকদের লাঞ্ছিতকরণ ঘটনায় কমপ্লিট শাটডাউন: বহিষ্কার ও প্রার্থিতা বাতিলের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) উপ-উপাচার্যসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সব ক্লাস-পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম, দোকানপাটও বেশিরভাগ বন্ধ দেখা গেছে।
সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধন করে শিক্ষক-কর্মকর্তারা বলেন, শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঘটে যাওয়া ঘটনা রাবির ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “সালাহউদ্দিন আম্মার ও তাঁর সহযোগীরা বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল করার নীলনকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। এই সন্ত্রাসীরা যেভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করেছে, তার বিচার না হলে ভবিষ্যতেও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।” তিনি চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের স্থায়ী বহিষ্কার, শেষ হয়ে যাওয়া ছাত্রত্বের সনদ বাতিল এবং রাকসু নির্বাচনে সংশ্লিষ্টদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন অভিযোগ করেন, “গত ৯ মাসে প্রশাসন বহু তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, কিন্তু একটিরও ফল পাওয়া যায়নি। এবার আমরা শুধু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখেই শান্ত হব।”
প্রসঙ্গত, পোষ্য কোটা ইস্যুতে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কোটা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এবং শনিবারের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তবে শিক্ষক-কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শাটডাউন অব্যাহত থাকবে।
বিআলো/এফএইচএস