• যোগাযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    রাশিয়ার ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগ শুরু করেছেন পুতিন 

     dailybangla 
    02nd Apr 2025 2:32 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়াতে ২০১১ সালের পর থেকে সবচেয়ে বড় সংখ্যক মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বলা হয়েছে। সেনাবাহিনীর আকার বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশটির ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সের এক লাখ ৬০ হাজার তরুণকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০১১ সালের পর এটিই দেশটির সেনাবাহিনীতে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিয়োগ।

    কয়েক মাস আগেই মি. পুতিন ঘোষণা করেছিলেন যে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে প্রায় ২৯ লাখ এবং সক্রিয় সদস্য সংখ্যা ১৫ লাখ করা উচিৎ। এরপরই নতুন সেনা নিয়োগের এই আহ্বান এলো।

    আগামী তিন বছরে এ নিয়োগের সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ৮০ হাজারে দাঁড়াবে। রুশ সেনাবাহিনীর সেনা মোতায়েন বিভাগের প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল ভ্লাদিমির সিমলিয়ানস্কি বলেছেন, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সেনাদের ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানো হবে না। বরং সেজন্য “বিশেষ সামরিক অভিযান” বাহিনী রয়েছে।

    তবে যুদ্ধের প্রথম দিকে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়োগ করা সৈন্যদের সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধে মারা যাওয়ার এবং তাদের ইউক্রেনে পাঠানোর খবর পাওয়া গিয়েছিলো।

    সেনা নিয়োগের এই কর্মসূচি এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত চলবে। এ ঘোষণা এমন সময় এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

    এদিকে, সংঘাত কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না এখনও, গতকাল মঙ্গলবারও নতুন হামলার ঘটনা ঘটেছে।

    ইউক্রেন জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর খেরসনের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে দেশটির ৪৫ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।

    যদিও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব রাশিয়া মেনে নেয়নি, কিন্তু ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনায় হামলা বন্ধ রাখার ব্যাপারে তারা সম্মতি জানিয়েছিলো।

    এখন খেরসনের বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন যে তারা মি. পুতিনকে জানিয়েছিলেন যে ইউক্রেনের ড্রোন বিরতিহীনভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

    প্রতি বছরের বসন্ত ও শরৎকালে বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় রাশিয়া। তবে, সর্বশেষ ঘোষণায় যে এক লাখ ৬০ হাজার তরুণকে নিয়োগের কথা বলা হয়েছে, তা ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ১০ হাজার বেশি।

    গত বছরের শুরুতে যুদ্ধে যোগদানের জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যদের বয়সের সর্বোচ্চ সীমা ২৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হয়েছে।

    নতুন এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ডাকযোগে পাঠানোর সাথে সাথে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরিষেবার ওয়েবসাইট গোসুসলুগিতেও নোটিফিকেশন পাঠানো হবে। মস্কোর এমওএস ডট আরইউ সিটি ওয়েবইটে পহেলা এপ্রিল থেকে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    তবে, রাশিয়ার বহু তরুণ সেনাবাহিনীতে যোগদানের এই বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা এড়াতে এখন বিকল্প বেসামরিক চাকরির চেষ্টা করছে।

    তবে, মানবাধিকার আইনজীবী তিমোফেই ভাসকিন সতর্ক করে বলেছেন যে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রতিটি বাধ্যতামূলত সেনা নিয়োগই এক রমক লটারির মতো অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।

    “কর্তৃপক্ষ প্রতিবার নতুন নতুন কৌশলে সেনাবাহিনীর শূন্য থাকা আসন পূরণ করছে।

    এদিকে, বছরে দুইবার নিয়মিত সেনা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বাইরে রাশিয়া উত্তর কোরিয়া থেকে ব্যাপক সংখ্যক যোদ্ধা এবং হাজার হাজার চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগ করছে।

    ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাপক সেনা হতাহত হওয়ার কারণে মস্কোকে নতুন সেনা নিয়োগের পথে হাঁটতে হয়েছে। বিবিসি ও মিডিয়াজোনা যাচাই করে দেখেছে যে ইউক্রেনে নিহত রুশ সৈন্যের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তবে, ধারণা করা হয় হতাহতের আসল সংখ্যা হয়ত এর দ্বিগুন হবে।

    ২০২২ সালে ইউক্রেন দখলের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে মি. পুতিন ইতোমধ্যে তিনবার সামরিক বাহিনীর আকার বাড়িয়েছেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেনা সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ‘নেটোর ক্রমবর্ধমান সম্প্রসারণের’ কথা বলেছিলো। রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে নেটো তার জোটে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে যুক্ত করেছে।

    বিশেষ করে, ফিনল্যান্ডের সাথে রাশিয়ার এক হাজার ৩৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এটি নেটোভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় সীমান্ত।

    ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেত্তেরি অর্পো মঙ্গলবার বলেছেন, মানববিধ্বংসী মাইন নিষিদ্ধ করার জন্য ফিনল্যান্ড রাশিয়ার প্রতিবেশী অন্য দেশগুলোর মতো অটোয়া কনভেনশন থেকে বেরিয়ে আসবে। পোল্যান্ড এবং আরো কয়েকটি বাল্টিক রাষ্ট্রও দুই সপ্তাহ আগে একই সিদ্ধান্ত নেয়।

    তিনি বলেন, সামরিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এবং এতে ফিনল্যান্ডের জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

    ফিনল্যান্ড সরকার আরো জানিয়েছে, দেশটির প্রতিরক্ষা বাজেট জিডিপির দুই দশমিক চার শতাংশ থেকে বাড়িয়ে তিন শতাংশ করা হবে।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    September 2025
    M T W T F S S
    1234567
    891011121314
    15161718192021
    22232425262728
    2930