লাকসাম জলাবদ্ধতা-বন্যার ভয়াবহতা রোধে উপজেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
মাসুদ পালের রনি, লাকসাম (কুমিল্লা): বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার,বন্যার ভয়াবহতা রোধে লাকসাম উপজেলা প্রশাসন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। লাকসাম পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় খাল, নর্দমা ও ড্রেন পরিষ্কার এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। শনিবার (১৭ মে) দিনব্যাপী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাউছার হামিদের নেতৃত্বে পৌরসভার ১টি এবং ইউনিয়নের ৮টিসহ মোট ৯টি খাল, নর্দমা পরিস্কা ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। খাল পরিস্কার ও অবৈধ স্থাপনা উদ্ধার অভিযানে সহযোগী হিসেবে কাজ করেন, স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক, সচিব ও লাকসাম বিডি ক্লিন নামের স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন।
জানা যায়, গত বছরের আগষ্ট-সেপ্টেম্বরের ভয়াবহ বন্যায় এ উপজেলা প্রায় ১‘শ কোটি টাকার মৎস্য বিভাগে ক্ষতি হয়। পাশাপাশি বর্ষায় টানা বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে এ উপজেলার সাধারণ মানুষ দীর্ঘ কয়েক মাস পানিবন্দি ছিলো। যার কারণ হিসেবে উঠে আসে লাকসাম ফতেপুর থেকে নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী পর্যন্ত বেরুলা খালটি বিগত সরকারের অপরিকল্পিত উন্নয়ন এবং পাশ^বর্তী জমির মালিকানা ব্যাক্তিদের দখল ও ভরাট। এ খালটি দখল করে ভরাট করায় শাখা খালের পানি নিষ্কাশনের বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
এখান থেকে পরিত্রাণ পেতে বর্তমান উপজেলা প্রশাসন খাল-বিল পরিস্কারসহ অবৈধ স্থাপনা উদ্ধারে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে আজগরা ইউনিয়নের কালিয়া চৌ গ্রামের ইমান হোসেন বলেন, গতবারের বন্যায় আমাদের বাড়িঘরসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের বেশ ক্ষতি হয়েছে। বেরুলা খালটি যদি দখল না হতো তাহলে মনে হয় বড় ধরণের ক্ষতির মুখে আমরা পড়তাম না। বর্তমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার দখলকৃত খাল উদ্ধারে যে প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তাতে আমরা বেশ খুশি। আশা করি এসব খালগুলো দখলমুক্ত থাকলে বন্যার ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে পারি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাউছার হামিদ বলেন, গত বছরের ভয়াবহ বন্যার কথা শুনেছি এবং এর অনেক ভয়াবহতার চিহ্নও দেখেছি। আমি আশা করছি আগামী দিনে যেকোন ধরণের বন্যা এবং জলাবদ্ধতা রোধে খাল পরিস্কার, অবৈধ স্থাপনা অপসারণসহ সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। প্রশাসনের পাশাপাশি এলাকার সচেতন নাগরিকরাও এসব প্রতিবন্ধকতা দেখলে তা রুখে দিবেন। উপজেলা প্রশাসন সবসময় আপনাদের পাশে আছে।