লালন সাঁইজীর মাজারে লাখোভক্ত সাধুভক্তের মহামিলন
সুমন মাহমুদ (কুষ্টিয়া) আসছে ছুটে, বসবে মেলা, মেলা হবে মিলন মেলা, মিলন মেলা লাখো ভক্তদের মহামিলন! মনের টানে ছুটে মহামিলন বিশ্বে আর একটি খুঁজে পাওয়া কঠিন।
মহামিলনের মহাগুরু বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজি। লালন সাঁইজির ১৩৪ তম তিরোধান দিবস পালন করতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ার লালন মাজার প্রাঙ্গনে লাখো ভক্তদের পদচারনায় তিরোধান দিবস পালন উপলক্ষে আগামী ১৭, ১৮ ও ১৯ অক্টোবর তিন দিনব্যাপী লালন তিরোধান দিবস। তিরোধান দিবস উৎসবে আলোচনা সভা, লালন মেলা ও সঙ্গীত অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং লালন একাডেমীর আয়োজনে এই স্মরণ উৎসব চলবে তিন দিন।
অনুষ্ঠানকে ঘিরে ইতোমধ্যে লালন একাডেমির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ছেঁউড়িয়া আঁখড়াবাড়ি লালন মাজারকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। আসতে শুরু করেছে হাজারো সাধু ভক্ত। ১২৯৭ বাংলা সনের ১ কার্তিক, ১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর এই আধ্যাত্মিক বাউল সাধক লালন শাহের মৃত্যু হয়। তার তিরোধান দিবসকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর ভক্তরা এ উৎসব পালন করতে সমবেত হয়ে থাকে। এসময় আখড়াবাড়িতে দেশ-বিদেশ থেকে আগত লাখো প্রাণের পদভারে মুখর হয়ে ওঠে।
এবারে ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে আয়োজন চলবে ১৯ অক্টোবর গভীর রাত পর্যন্ত। কুষ্টিয়া শহরের কোল ঘেঁষে কুমারখালী উপজেলার কালীগঙ্গা নদী। এ নদীর তীরেই ছেঁউড়িয়ার লালন সমাধি। বাংলা ১২৯৭’র পয়লা কার্তিক ও ইংরেজী ১৭ অক্টোবর ১৮৯০ সালে এখানেই লালন শাহ’র শেষ শয্যা রচিত হয়। প্রতিবছরের মতো এবারেও লালন ভক্তদের জন্য বিকেলে অদিবাস, সকালে বাল্যসেবা ও দুপুরে পূর্ণসেবা ব্যবস্থা রয়েছে।
বিআলো/তুরাগ